হামজা দেওয়ান চৌধুরী ও সামিত সোম নেই। এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলে খেলতে যাওয়ায় আরেক প্রবাসী ফাহমিদুল ইসলামও নেপালে খেলতে যাননি। তাদের ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় দল যে বড্ড মøান তা অনেকের-ই জানা। অথচ ঢাকা ছাড়ার আগে হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বলে যান, সমস্যা নেই তাদের ছাড়াই বাংলাদেশ জেতার সামর্থ্য রাখে। অথচ ঘরের মাঠে নেপালকে হারানোটা যে কঠিন তা দেশের ফুটবলপ্রেমীরা ভালোই জানতেন। ঢাকাতেই খেলা হলে তো নেপালের বিপক্ষে লড়তে ফুটবলারদের জান বের হয়ে যায়। আর কাঠমান্ডুতে জয় তো অনেকটা স্বপ্নের মতোই। শনিবার প্রথম প্রীতি ম্যাচে নেপালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। আগামীকাল আবার দুই দেশের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ।
কাবরেরা বলেছিলেন, হামজা ও সামিত ছাড়াও জেতা সম্ভব। এখন আবার ড্রতেই স্বস্তি। ম্যাচ শেষে বললেন, ‘না জিতলেও ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে খুশি আমি। এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের প্রস্তুতি হিসেবেই আমরা নেপালে খেলতে এসেছি। ছেলেরা যে নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে তা যদি ধরে রাখতে পারে বাছাইপর্বের বাকি ম্যাচগুলোয় ভালো করা সম্ভব।’ আসলে কাবরেরা একেক সময় একেক কথা বলেন। কাজের কাজ কিছুই করতে পারছেন না। অথচ কথাতে পটু। তবে এটা সত্য শনিবার দশরথ স্টেডিয়ামে জামাল ভূঁইয়ারা সত্যিই ভালো খেলেছেন। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের বিপক্ষে সমান তালে লড়েছেন। কাঠমান্ডুতেই ১৯৯৯ সালে নেপালকে হারিয়ে সাফ গেমসে ফুটবলে বাংলাদেশ প্রথম সোনা জিতেছিল। এরপর সেখানে খেলা হলেই বাংলাদেশ কেন জানি নিজেদের হারিয়ে ফেলে। শনিবার সে চেহারায় পরিবর্তন ছিল। ম্যাচ জেতেনি তারপরও গত কয়েক বছরের মধ্যে নেপালের মাটিতে বাংলাদেশের ভালো খেলেছে এটা স্বীকার করতেই হবে। ম্যাচে দুই দলই গোল করতে পারত। সুযোগ নষ্ট করায় তা হয়নি। সুমন রেজা একবার জালে বলও পাঠান কিন্তু অফ সাইডে থাকায় গোল হয়নি। আক্রমণভাগ নজর কাড়লেও বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ততটা সক্রিয় ছিল না। কারও কারও খেলা দেখে মনে হয়েছে, নিয়মরক্ষা করতেই যেন মাঠে নেমেছে। আগামীকাল যদি ম্যাচ জিতে তাহলে বাংলাদেশের সফরকে সফল বলা যেতে পারে। হেরে গেলে সেই হতাশায় বন্দি বাংলাদেশ।