জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মতো ফিলিস্তিনের সঙ্গে আমাদের আন্তরিক সম্পর্ক বিদ্যমান এবং এ সম্পর্ক চিরদিন অটুট থাকবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানবতার দুশমন ইসরায়েল গাজায় খাবার প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ফলে সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। শিশুসহ হাজার হাজার ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা যাচ্ছে। এ সময় তিনি গাজা সিটি দখল ও ফিলিস্তিনি জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা অবিলম্বে বন্ধ করতে দখলদার ইসরায়েলকে বাধ্য করার জন্য জাতিসংঘ, ওআইসিসহ শান্তিকামী বিশ্বের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
গতকাল জামায়াত আমিরের বসুন্ধরার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের অ্যাম্বাসেডর ইউসুফ সালেহ ওয়াই রামাদানের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় অ্যাম্বাসেডর জামায়াত আমিরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং তাঁর পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। জামায়াতে ইসলামীর আমির আরও বলেন, সম্প্রতি ইসরায়েল প্রকাশ্যে গাজা দখলের ঘোষণা দিয়েছে এবং সেই লক্ষ্যে গাজা থেকে জোরপূর্বক প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করার ভয়াবহ পরিকল্পনা করেছে। গাজা দখলের এই নীলনকশা ইসরায়েলি আগ্রাসনের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ, যা আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার ও ন্যায়নীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থি। ইসরায়েলের এই হিংস্র দখলদারত্ব শুধু ফিলিস্তিনের জন্য নয়, বরং গোটা বিশ্বশান্তি, স্থিতিশীলতা ও মানবতার জন্য গুরুতর হুমকি। তিনি আরও বলেন, অতীতে বহুবার ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে নারী-শিশুসহ প্রায় ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এ সময় ফিলিস্তিনের অ্যাম্বাসেডর মি. ইউসুফ সালেহ ওয়াই. রামাদান বলেন, ‘ফিলিস্তিন বিশেষ করে গাজা উপত্যকার প্রতি বাংলাদেশের জনগণের অর্থবহ ভালোবাসা, সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।