চাষে ব্যতিক্রমী পদ্ধতি অবলম্বন করে মানিকগঞ্জের কৃষকরা এখন সফলতার মুখ দেখছেন। সার, কীটনাশক, শ্রমিকের মুজুরি পরিশোধ করে বছর বছর লোকসান গুণলেও এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছেন জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক। যে সকল জমিতে বৎসরে এক বা দুই ফসল হত সেসব জমিতে এখন একসাথে একাধিক ফসল ফলিয়ে তারা লাভবান হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার রমনপুর এলাকার কৃষকরা আখচাষের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মূলা অথবা ধনে পাতার চাষ করেছে। মূলা ও ধনেপাতা বিক্রির পর জমিতে কেউ গোল আলু, কেউ তামাক অথবা কপির চাষ করেছেন। সকল ফসল ভাল হওয়ায় ধান পাট চাষের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লাভ হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
রমনপুর এলাকার কৃষক মো. আলমাস বিশ্বাস বলেন, কয়েক বছর আগে এই এলাকার কৃষকরা খুব খারাপ অবস্থায় ছিল। একফসলি জমি নিয়ে আমরা অনেক কষ্টে জীবন পার করেছি। আখ চাষের জমিতে এখন সাথী ফসল হিসেবে মূলা, ধনেপাতা, তামাক, কপি, আলুসহ বিভিন্ন রকমের ফসল হওয়ায় এলাকার সকল কৃষক ভাল আছে। তিনি জানান রমনপুর, ডাউটিয়া, ঢাউলীসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজন একই জমিতে একসাথে অনেক রকম ফসল ফলায়। এখানকার কৃষকরা বেকার থাকে না। বারোমাস জমিতে কাজ থাকে।
ডাউটিয়ার মো. ওয়াজেদ খান বলেন, ছয় বিঘা জমিতে আখের সাথে মূলা ও কপির আবাদ করেছি। দিনকাল ভালই যাচ্ছে। আগের মতো অভাব নেই।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী জানান, মানিকগঞ্জে মূল ফসলের সাথে সাথী ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা। একই সময়ে তারা বিভিন্ন ফসল আবাদ করে অনেক লাভবান হচ্ছে। যেসব জমিতে একসাথে অন্যফসল চাষ করা যায় সে সব জমিতে সাথী ফসল চাষের উৎসাহ দিয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা করে যাচ্ছে মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
বিডি প্রতিনিধি/ফারজানা