বান্দরবানের লামা উপজেলার মাতামুহুরী নদী, লামা খাল, বমু খাল, পোপা খালসহ নদীর দুই ধারে ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে বিষাক্ত তামাক। এই অঞ্চলের শতকরা ৯০ শতাংশ আবাদী জমি এখন তামাক চাষের দখলে। কৃষি বিভাগের উদাসীনতা ও সংশ্লিষ্টদের নজরদারী এবং সঠিক পরামর্শের অভাবে প্রতি বছরই তামাক চাষ বেড়েই চলেছে।
নদী-খালের ৫০ ফুটের মধ্যে তামাক চাষ করার নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বে তা উপেক্ষা করে নদীর দু’পাড়ে তামাক চাষ করছে কৃষকরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে সব জমিতে তামাক চাষ করা হচ্ছে সে সব জমিতে ভবিষ্যতে অন্য কোন ফসল চাষ করা যাবে না। শুধু তাই নয় তামাক চাষে কৃষকরাও ভুগছে নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুকিতে। কিন্তু কৃষকরা এসব কথা মাথায় না রেখেই শুধু স্বল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় বিপদ-জনক জেনেই চাষ করছে তামাকের।
বান্দরবান কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলতাব হোসেন বলেন, যেভাবে তামাক চাষের আবাদ বাড়ছে, তা যথারীতি এই জনপদের জন্য হুমকিসরুপ। ধান ও শস্য চাষে কৃষকদের ফিরিয়ে আনতে সরকার কর্তৃক স্বল্প সুদে কৃষিঋণ, কৃষি উপকরণ সহজলভ্যসহ নানান পদক্ষেপ ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার