কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ থেকে নারীসহ ১০ মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭ এর সদস্যরা। এ সময় আবদুর রহমান (২৫) নামে এক দালালকে আটক করা হয়েছে। সে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মাঝার পাড়ার ফজলুল হকের ছেলে।
শুক্রবার দিবাগত রাত দেড় টার দিকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর মাঝের পাড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ছয়জন নারীও রয়েছেন। এরা সবাই গত বছরের আগষ্টের পরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে প্রাণ বাচাঁতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।
মালয়েশিগামীরা হলেন- মো. জিয়া, রশিদ ইল্লাহ, নুর আলম, মো. জাবের, মো. মোকাদেছা, জান্নাত আরা, সেতেরা, জোলেখা, রোজিনা, সলিকা। তারা সকলেই উখিয়া কতুপালং, জাদিমুরা, মৌচনী ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র্যাব-৭ এর ইনচার্জ মেজর মেহেদী হাসান। তিনি জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে সাগরপথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাবার কথা বলে শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আবদুর রহমানের বসত-বাড়িতে ওইসব রোহিঙ্গাদের জড়ো করে রাখা হয়েছে, এমন গোপন সংবাদের খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে র্যাব একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দালাল বাড়ির মালিক আবদুর রহমানকে আটক করা হয়।
উদ্ধার রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে মেজর মেহেদী আরও বলেন, একদিন আগে প্রলোভন দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা করে নিয়ে তাদের সেখানে নিয়ে আসেন এবং গভীর সাগরে একটি বড় ট্রলারে তাদের তুলে দেওয়ার কথা ছিল। মালয়েশিয়া পৌছার পর আরও ২ লাখ টাকা করে দেওয়া কথা ছিল। রোহিঙ্গা নারীদের সেখানে বিয়ে কথা বলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মানব পাচার আইনে মামলা দিয়ে তাদেরকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ