জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বলেছেন, ইসরায়েলের একের পর এক হামলা তার দেশ ও অঞ্চলকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথম সিরীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে আহমেদ আল-শারা জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সপ্তাহে ভাষণ দেন।
শারা তার ভাষণে বলেন, সিরিয়া এখন সংকট রপ্তানিকারী থেকে শান্তির সুযোগে পরিণত হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে ইসরায়েল বারবার তার ঐতিহ্যবাহী প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটিতে হামলা করেছে। এতে নতুন করে যাত্রা শুরু করা সিরিয়ার ভবিষ্যত ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
শারা বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যারা রক্তপাতের জন্য দায়ী, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং তাদের জবাবদিহি করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এই প্রেক্ষাপটে সিরিয়ায় ইসরায়েলি অভিযান ও হামলা চালিয়ে যাওয়া, সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটি নতুন সংকট সৃষ্টি করছে।
শারা জানান, সিরিয়া ১৯৭৩ সালের ইয়ম কিপুর যুদ্ধের পর যেই অস্ত্রবিরতি চুক্তি করেছিল, তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যদিও আসাদকে উৎখাত করার পর ইসরায়েল অন্তত সাময়িকভাবে তা অকার্যকর ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, এই আগ্রাসনের মুখে সিরিয়া সংলাপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা ১৯৭৪ সালের বাহিনী প্রত্যাহার চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সিরিয়ার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
শারার বক্তব্যের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, যেকোনো চুক্তি ইসরায়েলের স্বার্থ নিশ্চিত করার ওপর নির্ভরশীল।
এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম সিরিয়াকে সামরিকীকরণ বন্ধ করা এবং দ্রুজ সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা করা তাদের স্বার্থের মধ্যে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল এই অঞ্চলজুড়ে আক্রমণাত্মক সামরিক পদক্ষেপ নেয়।
সূত্র : আরব নিউজ ও এএফপি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত