দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা শপিংমল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে জমে উঠেছে পূজার শপিং। এক দিন পরই শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গতকাল লোকারণ্য ছিল শপিং মলটি। অন্যদিকে শাঁখারীবাজার, ধানমন্ডি রাপাপ্লাজা, নিউমার্কেটসহ রাজধানীর শপিং মলগুলোতেও দেখা যায় সানতন ধর্মাবলম্বীদের উপচে পড়া ভিড়। গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে সকাল থেকেই ক্রেতারা ভিড় জমাতে থাকেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আউটলেটগুলোতে। মালিবাগ, পান্থপথ, গ্রিনরোড, বনানী, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ শপিং মলে পোশাক কিনতে আসছেন। বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা পলাশ হাজরা পরিবার নিয়ে এসেছেন পূজার বাজার করতে। আমিন জুয়েলার্সের আউটলেটে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে সবার জন্য পূজার পোশাক অনুসঙ্গ পাওয়া যায় বলে বসুন্ধরায় শপিং করতে আসি। আজকে এসেছি পূজায় শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করতে। মায়ের জন্য এবং স্ত্রীর জন্য গয়না নিচ্ছি।’ ফ্যাশন হাউজ ইজির বিক্রয়কর্মী মো. মারুফ বলেন, ‘পাঞ্জাবি ও শার্টের চাহিদা আমাদের এখানে সারা বছর থাকে। তবে ঈদ ও পূজায় বিক্রি বেশি হয়। এবারের পূজায় আজকেই সবচেয়ে বেশি মানুষ এসেছে। সবার হাতেই শপিংব্যাগ।’ শপিং করতে আসা বনানীর বাসিন্দা ডা. শাওন দত্ত বলেন, ‘এবার ছোটদের জামাকাপড়ের দাম আগের চেয়ে একটু বেশি। ছোটদের পণ্য বিক্রেতারা জানান, এখন কাপড়চোপড় বিশেষ করে ছোটদের পণ্য আমদানি করা একটু কঠিন। এগুলোর বেশির ভাগই আসে ভারত এবং চীন থেকে। তবে দেশীয় পণ্যের দাম একই রয়েছে। রঙ বাংলাদেশ আউটলেটের সহকারী ম্যানেজার বলেন, ‘আমাদের এখানে অন্য সব পোশাকের মতো শিশুদের পোশাকের চাহিদা বেশি। তাই সব উৎসবেই আমাদের এখানে নতুন পোশাক থাকে। এবারের পূজায়ও আমাদের কালেকশনে সবই নতুন পোশাক। আশানুরূপ বিক্রিও আছে।’ অন্যদিকে ধানমন্ডির রাপাপ্লাজা এবং নিউমার্কেটেও পূজা সামনে রেখে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। পাশাপাশি প্রতিমা সাজানোর উপকরণ ও পূজার আনুষঙ্গিক সামগ্রীর দোকানগুলোতে চলছে বেচাকেনার ধুম।
রাজধানীর শাঁখারীবাজার যেন পূজা যত ঘনিয়ে আসছে, ততই জমজমাট হয়ে উঠছে।
নিলয় দাশ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘শাঁখারীবাজারে সবকিছু এক জায়গায় পাওয়া যায়। ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে এখানে আসতাম। তার আগে আমার বাবা আসতেন দাদার হাত ধরে। শাঁখারীবাজার এলে আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে রয়েছে।’