নেত্রকোনার দূর্গাপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃত্যুর একদিন পর পুলিশ খবর পেয়ে কাকৈরগড়া ইউনিয়নের রাত্রা গ্রামের আব্দুল হামিদের বাড়ি থেকে নাছিমা নাসরীন (৩৫) নামের গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। স্বামী আব্দুল হামিদ (৪৮) কে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও স্বজনদের অভিযোগ গত বুধবার রাতে স্বামী আব্দুল হামিদ ও তার বড় ভাই শমসের নাসরীনকে হত্যা করে কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে এলাকায় প্রচার চালায়। তবে নিহত গৃহবধুর ৩ বছরের শিশু সন্তান আপ্পান মিয়া তার মাকে মারধর করে হত্যা করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মাষ্টারের সহায়তায় বিষয়টি ধামাচাপা দিতেইে তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টা চালায়।
পরে নিহতের পিতা পূর্বধলা উপজেলার রামকান্দা গ্রামের লালন ফকির ও ভাই রতন ফকিরসহ স্বজনরা নাছিমার স্বামী সবসময় যৌতুক নিত এবং না দিলে নির্যাতন করতো বলে চিৎকার করতে থাকে। এসময় তাদের চেঁচামেচিতে বিষয়টি স্থানীয়রা আমলে নিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের নাম্বারে বার বার চেষ্টা করেও বন্ধ পাওয়া যাওয়ায় কথা বলা সম্ভর হয়নি।
এ ব্যাপারে দূর্গাপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার খবর শোনা মাত্রই ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকানা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নছিমার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা