কক্সবাজারের টেকনাফে সীমান্ত বাণিজ্যে গত ডিসেম্বর মাসে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৭৮ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব বেশি আদায় করা সম্ভব হয়েছে। ওই মাসে মায়ানমার পণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকায় রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের ডিসেম্বর মাসে ৩৫৬টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৭৮ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই শুল্ক স্টেশনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক এই মাসে ১৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা বেশি আদায় হয়েছে। এতে মায়ানমার থেকে পণ্য আমদানি করা হয় ৫৭ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকার।
অপরদিকে ৫৩টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকার পণ্য মায়ানমারে রফতানি করা হয়েছে।
এছাড়া শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে ৪ হাজার ৯১৪টি গরু, ৯৮৯টি মহিষ আমদানি করা হয়েছে। এতে ২৯ লাখ সাড়ে ৫১ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয় বলেও জানায়।
গত ডিসেম্বর মাসে মায়ানমার থেকে পণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকায় রাজস্ব আদায়ও অনেক ভাল হয়েছে। তবে পণ্য আমদানি এভাবে থাকলে সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায় আরও গতি বাড়বে বলে জানালেন বাণিজ্য ব্যবসায়ীরা।
টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা শংকর কুমার দাশ বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে মায়ানমার থেকে পণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায়ও বেশি হয়েছে। তবে সীমান্ত বাণিজ্যে চলমান অবস্থা বিরাজমান থাকলে রাজস্ব আদায়ও আরও বৃদ্ধি পাবে। সীমান্ত বাণিজ্যকে আরও গতিশীল করতে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা