নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা একটি খামারে গভীর রাতে অস্ত্র ঠেকিয়ে তিন কর্মচারিদের বেঁধে রেখে ৯টি গরু ও ৩টি ছাগল লুট পাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই সময় তাদের হামলায় নুরুল আমিন (৬০) নামে এক কমচারী আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের মকবুল চৌধুরীর হাটের দক্ষিণে হাজী ওবায়েদ মিয়ার মালিকানা শামছুন নাহার দুগ্ধ ও মৎস খামারে।। এদিকে ঘটনার পাঁচদিন পরও গরু গুলো উদ্ধার ও ডাকাতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আতঙ্কে রয়েছে খামার মালিকরা।
ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় এলাকাবাসী, খামারের পরিচালক সাজিদ আল নাহিয়ান তাওসিক ও খামার মালিক হাজী ওবায়েদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিনরাত সাড়ে ৩টার দিকে মুখোশধারী ১০/১৫ জনের একদল ডাকাত দেশীয় পিস্তল, রামদা, চেনি, লোহার পাইপ হাতে করে ছোট দলে ভাগ হয়ে খামারের প্রধান গেইটের তালা ভেঙে খামারে প্রবেশ করে। এসময় দায়িত্ব রত পাহারাদার ইসমাইলকে মারধর করে অস্র দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে পিলারের সাথে হাত, মুখ বেঁধে ফেলে। পরে ঘরে ঢুকে কর্মচারি জাফর, আমির হোসেন রিয়াদ ও আবদুল ওয়ারেছকে ঘুম থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে গামছা ও দড়ি দিয়ে হাত মুখ বেঁধে ফেলে। ডাকাতরা মূল গেইট দিয়ে ২টা পিকআপ খামারে ঢুকায় এবং কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য ৯টা বড় গরু, তিনটি ছাগল ও ২০ বস্তা গোখাদ্য ২টা পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। এ বিষয় হাজী ওবায়েদ মিয়া ডাকাতির মামলা করতে গেলে ওসি মোঃ শাহিন মিয়া ও পুলিশ ডাকাতির ঘটনা এড়িয়ে গিয়ে চুরির মামলার অভিযোগ করতে বলেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন ফারুক জানান, এলাকায় চুরি ডাকাতি বেড়ে গেছে। অনেকের গরু চুরি, ডাকাতি করে নিয়ে যাচ্ছে। আমি নিজেও ভুক্তভোগী। হাজী ওবায়েদ মিয়ার খামারে স্টাফদের বেঁধে রেখে পিকআপে কনে গরু ডাকাতির ঘটনা খুবই দুঃখজনক। ডাকাতদের বাধা দিলে খুন খারাপির মতো ঘটনাও ঘটে যেতো।
এ বিষয়ে কবিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করেছে। পরবর্তীতে সদর সার্কেল স্যার সহ আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। খামারের মালিক কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ