বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আপনারা (সরকার) ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছেন। এই বাজেটের শেখ হাসিনার সঙ্গে পার্থক্য কী বলুন? শেখ হাসিনাও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিল, আপনারাও দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের উদ্যোগে দুস্থদের ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ ভালো চলুক। দেশে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। নির্বাচনটা কবে হবে আর কত দেরি হবে জিজ্ঞেস করলে উপদেষ্টা চুপ করে থাকেন। একটা সময় সংস্কারকে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী করেছে। সংস্কারকে সামনে নিয়ে এসেছে। এখন তাও বলছে না।
তিনি আরও বলেন, ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার এই বাজেটের ২৩ শতাংশ ওপরে যাবে শুধু প্রশাসনের বেতনের জন্য। আর সুদের টাকা যাবে ১৪ শতাংশ। তাহলে গরিব মানুষের জন্য কি রেখেছেন? লাভের গুড় তো পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলছে, তাহলে জনগণের জন্য কি করলেন?
রিজভী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কম। কিন্তু আমাদের তো বেশি দরকার স্বাস্থ্য খাত ও শিক্ষা খাতে। সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা তো সরকারই দেখবে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমানকে শুধু নেতা বললে হবে না, তিনি একজন যুগ সৃষ্টিকারী নেতা। জনগণ তাকে নাম দিয়েছে ‘রাখাল রাজা’। তিনি মাইলের পর মাইল হেঁটে জনগণের দুর্দশা উপলব্ধি করেছেন। তিনি অনেক ভালো ভালো কর্মসূচি করেছেন। জিয়াউর রহমান জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান এমন সময় ক্ষমতায় এসেছেন একদিকে রাজনৈতিক সংকট এবং অন্যদিকে অর্থনৈতিক সংকট। ৭৪ এর দুর্ভিক্ষের সময় দরিদ্র মানুষ এক মুঠো ভাত পাচ্ছে না। এসব বিপর্যয়কর পরিস্থিতির পরে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি এগুলো রক্ষার মাধ্যমে কি করে খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, একারণে তিনি সারাদেশে খাল খনন করেছেন। খাদ্য উৎপাদনের জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। অল্প সুদে তিনি ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে গোটা জাতিকে তিনি একটা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ