একটি বাড়ির ভবনে ও ভবনের পাশের গাছের ডালে মৌমাছিরা অর্ধশতাধিক চাক বেঁধেছে। এত মৌচাকের কারণে সবাই এক নামে এটিকে ‘মৌচাকবাড়ি’ বলে চেনে। এভাবে গত ১০ বছর ধরে মাদারীপুরের দক্ষিণ খাকছাড়া গ্রামের কবির মল্লিকের বাড়িতে মৌমাছি প্রায় ছয় মাস বাসা বেঁধে থাকে। দৃষ্টিনন্দন এই দৃশ্য দেখার জন্যে দূর-দুরান্ত থেকে আসেন দশনার্থীরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেল, মাদারীপুর জেলা শহরের দক্ষিণ খাকছাড়া গ্রামের কবির মল্লিকের দু’তলা ভবন। এই ভবনের চারদিকের কার্নিশ, বারান্দার দেয়াল, দরজার উপরের অংশ কোন জায়গা ফাঁকা নেই, সবখানেই ঝুলছে মৌচাক। ভবনের পাশে গাছের ঢালে ঢালেও ঝুঁলছে মৌমাছির বাসা। দূর থেকে বাড়িটি দেখলে মনে হয় যেন মৌমাছির বাড়ি। এভাবে প্রায় অর্ধশত মৌচাক বাসা বেঁধে থাকে সেপ্টেম্বর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত।
এ ব্যাপারে বাড়ির মালিকের ছেলে সাজ্জাত মল্লিকসহ কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, এ বাড়ীতে সব সময় মৌচাক থাকায় বিভিন্ন দূর দূরান্ত থেকে দর্শনাথীরা এসে সারি সারি মৌচাক দেখার জন্য। যখন মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করা হয় তখন খাটি মধু আমরা খেতে পারি। আমাদের এলাকাবাসীর জন্য এ বাড়ীটা একটা দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
মৌচাক দেখতে আসা কয়েকজন দশনার্থী বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা এই প্রাণীকে নির্বিঘ্নে থাকার সুযোগ করে দিতে হবে। মৌচাকগুলো দেখতে খুব সুন্দর।
মৌচাকবাড়ীর মালিক কবির মল্লিক বলেন, ১০ বছর ধরে এভাবেই মৌচাক বসে আমার ভবনের দেয়াল ঘেঁষে। দৃষ্টিনন্দন এই দৃশ্য দেখার জন্যে প্রতিদিন মানুষ ভীড় করে বাড়ীতে। সারা বছর মৌচাক থাকলেও সরিষা চাষের মৌসুমে চাকের পরিমাণ বেড়ে যায়। মৌমাছি কারও ক্ষতি করে না। মৌচাকের থাকায় আমরা বারো মাসই নিজেরা মধু খেতে পারি এবং প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজনকেও দিতে পারি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা