বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। বাড়িতে এখনও অবিবাহিত এক বোন। বাড়িতে দারিদ্রতা নিত্য সঙ্গী।সংসারের হাল ধরতে কিশোর মহম্মদ জিল্লুর ঠিক করে দেশ ছাড়বে। সেই মতো দালালের সাথে যোগাযোগ করে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে জিল্লুর।
কাজের খোঁজে সিলেট দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। হিলির হাড়িপুকুর এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার সময় ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর হিলি থানার ত্রিমোহনী এলাকা থেকে জিল্লুর-কে আটক করে পুলিশ। তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। বয়স কম হওয়ায় ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি জিল্লুর-কে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে সরকারি হোম ‘শুভায়ন’ হোমে। সেই থেকে এটাই ছিল তার ঠিকানা। অবশেষে জিল্লুর-কে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার পর দুই দেশের হাই-কমিশনের উদ্যোগে মুক্তির স্বাদ পেল জিল্লুর। সে ফিরে গেল নিজের দেশে।
সোমবার সকাল ১১টায় পশ্চিমবঙ্গের হিলি সীমান্ত দিয়ে ওই কিশোরকে বিজিবি’এর হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। এর আগে হোম থেকে কিশোরদের এসকর্ট করে হিলি সীমান্তে নিয়ে আসা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হিলি (ভারত) ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট (আইসিপি) ওসি শিপ্রা রায়, হিলি (বাংলাদেশ) ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট (আইসিপি) ওসি ফিরোজ কবির, শুভায়ন হোমের কর্মকর্তা পরেশ হাজরা, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ‘চাইল্ড লাইন’এর সেন্টার সমন্বয়ক সুরজ দাস, বিএসএফ ও বিজিবি’র কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা