প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলিতে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে। মো. নুরুল ইসলাম নামের ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
জানা যায়, ঘাটাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে মো. নুরুল ইসলাম ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসে যোগদান করেন। যোগদানের পরই গত বছর সমাপনী পরীক্ষায় নিম্ন মানের খাতা দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে নিজের তৈরি নিয়মে চলেন এই কর্মকর্তা।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নীতিতে উল্লেখ রয়েছে, কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদ শূন্য হলে সাত দিন আগেই তা নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে রাখতে হবে এবং শূন্য পদের বিপরিতে যদি একাধিক প্রার্থী থাকে তাহলে জৈষ্ঠ্যজনকে বদলি করতে হবে। কিন্তু এই নীতিমালা অনুসরণ না করেই চলিত মাসে প্রায় চল্লিশ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে টাকার মাধ্যমে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আর এ বদলির ক্ষেত্রে প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে ৪০-৫০ হাজার টাকার ঘুষ নিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা দিলোয়ারা সুলতানা অভিযোগ করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি তার কাছে আমার বদলির বিষয়ে সুপারিশ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ৪০ হাজার টাকা লাগবে বলে তিনি দাবি করেন।
জুনকাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাজমা আক্তার বলেন, আমি বদলির জন্য আবেদন করেছিলাম, কিন্তু টাকা দিতে পারিনি বলে অন্য শিক্ষককে টাকার মাধ্যমে বদলি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন বলেন, তার কাছে কোনো কাজ নিয়ে যাওয়া হলে তিনি টাকা চেয়ে বসেন। তার এই অনিয়ম, দুর্নীতির কথা প্রতিবাদ করলেই তিনি দূরে বদলি করানোর হুমকি দেন। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ এই দুর্নীতিবাজ অফিসারের হাত থেকে আমরা ঘাটাইলের সকল শিক্ষক পরিত্রাণ চাই।
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঘাটাইল প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: নুরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এখানে সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল