বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার বিতর্কিত ওসি মো. শাহিন খানকে থানা থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম। গত বুধবার জেলা পুলিশ সুপারের এক আদেশে ওসি মো. শাহিন খানকে মেহেন্দিগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। তবে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ওসি মো. শাহিন খান মেহেন্দিগঞ্জ থানার দায়িত্বভার ছাড়েননি।
আজ দুপুরে ওসি মো. শাহিন খান মুঠোফোনে বলেন, জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত হওয়ার আদেশের কপি তার হাতে পৌঁছায়নি।
এর আগে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওসি মো. শাহিন খানের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় মেহেন্দিগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুকুমার রায়কে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, নিরীহ মানুষকে থানায় আটক করে উৎকোচ আদায়, মসজিদের ইমামকে মারধরের চেষ্টা, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময় আইসক্রিম ডিলারের ফ্রিজ এনে দীর্ঘদিন বাসায় রেখে মা ইলিশ সংরক্ষণ, চালের আড়ৎ থেকে বস্তা ভর্তি চাল, মুদি দোকান থেকে পিঁয়াজ-রসুন নিয়ে যাওয়া এবং মিস্টি খেয়ে টাকা না দেওয়া, কাজ করিয়ে শ্রমিকের টাকা না দেওয়া, বিনা কারণে স্থানীয় চা দোকানী আজম হাওলাদার ও তার ভাই আজাদ হাওলাদারকে মারধরসহ থানায় নিয়ে আটকে রাখা, নাশকতার মামলা দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায়, সাধারন ডায়েরি করতে টাকা নেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ওসি মো. শাহিন খানের বিরুদ্ধে।
মেহেন্দিগঞ্জের সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুকুমার রায় বলেন, ওসি শাহিন খানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ওসি শাহিন খানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠায় তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দা তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। শাহিন খান জনগণের আস্থা হারিয়েছে। এতে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এ কারণে মেহেন্দিগঞ্জ থানা থেকে তাকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা