নানা সমস্যায় জর্জরিত নেত্রকোনা সরকারী কলেজের ছাত্রী হোস্টেলটি। ঝুকিপূর্ণ বিল্ডিংসহ রান্না-বান্নার কাজে গ্যাসের লাইন রয়েছে বিপদজ্জনকভাবে। যে কোন সময় বিস্ফোরণ ঘটার আশংকায় থাকেন বার্বুচিসহ দায়িত্বরতরাও। এদিকে অপরিচ্ছন্ন ডাইনিং, বেসিন। এসব কিছুর মাঝেই চলছে ছাত্রীদের খাওয়া দাওয়া। সিকিউরিটি বাউন্ডারিসহ হেলে পড়া বিল্ডিং নিয়েও রয়েছে তাদের শংকা। এ সব নিয়ে কথা বললে হোস্টেল হল সুপাররা শিক্ষা প্রকৌশলের উদাসীনতাকে দায়ী করেন।
সরেজমিন হোস্টেল পরিদর্শন করে উঠে আসে হোস্টেলের নানা সমস্যা। দুটি বিল্ডিংয়ে মোট সিট রয়েছে ২৪০টি। তার মধ্যে রেগুলোর মিল চলে ১৭০ জনের। রান্নার কাজে ব্যাবহৃত গ্যাসের চুলাসহ পুরনো বিল্ডিংটি দেবে যাওয়ায় গ্যাস লাইনসহ চুলাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। এদিকে খাবার ব্যাবস্থায় ডাইনিং অপরিছন্ন মাস খানেক ধরে। তার উপর রয়েছে মাদক সেবীদের উৎপাত। সিকিউরিটি দেয়ালের ভেতরে প্রবেশ করে মাদক সেবন করে প্রতিনিয়ত। গেইট যেটি রয়েছে সেটি অরক্ষিত। বিভিন্ন সময়ে ইভটিজিংয়েরও শিকার হয় ছাত্রীরা। ছাত্রীদের অভিযোগে উঠে আসে এসব সমস্যা। তারা একটি শান্ত সুন্দর ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশের দাবি করেন।
এসব নিয়ে কথা বলেন শিক্ষার্থী মুক্তা চৌধুরী, জুই খান, মুন্নি আক্তার টুম্পা, শান্তা সরকারসহ অনেকেই। তারা বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাওয়া চলছে। এর উপর পুরনো বিল্ডিংটির এক সাইট দেবে গেছে। যে কারণে গ্যাসের চুলা দেবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। আমরা দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসলেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তারা।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী ইফতেকার আলম জানান, আগের বিল্ডিংয়ের কোন তথ্য নেই তার কাছে। তবে নতুন বিল্ডিংটি আড়াইশ কোটি টাকায় ২০১৬ সালে শেষ হয়। সেটিতে আবার ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে উপরের একতলার কাজ চলছে। তিনি জানান, হোস্টেল পরিদর্শন করে নতুন করে বাউন্ডারিসহ কয়েকটি কাজের ইস্টিমট করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, প্রকৌশলীতো কি করেন সেটা ভবন দেখলেই বুঝবেন। পুরনো বিল্ডিং পিছন দিয়ে পুকুরের দিকে দেবে গেছে। ২০১৬ সালে শেষ করেছে যে বিল্ডিংটি, সেটিও দেখে নতুন মনে হয় না। মেয়েরা ঝুঁকিতে। এদেরকে দেখার কেউ যেন নেই।
এ ব্যাপারে কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সিরাজুল ইসলাম বিল্ডিংয়ের বিষয়টি স্বীকার করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করে বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য শিক্ষা প্রকৌশলীকেও কয়েক দফা জানানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ মার্চ, ২০১৯/মাহবুব