“হে লৌহিত্য আমার পাপ হরণ করো’- এই মন্ত্র উচ্চারণ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যমুনা নদীতে স্নান করছেন। স্নানোৎসবের মাধ্যমে জাগতিক সংকীর্ণতা ও পঙ্কিলতার আবরণে ঘেরা জীবন থেকে পাপ মুক্ত হবেন এমনটাই বিশ্বাস হাজার হাজার পুণ্যার্থীদের।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) ভোর থেকে শুরু হওয়া টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসীর পুরাতন ঘাট খানুরবাড়ি যমুনা নদীতে স্নানোৎসবে শত শত পুণ্যার্থীর ঢল নামে।
স্নান উপলক্ষে স্নানোৎসব কমিটি পুণ্যার্থীদের সেবা দিতে বিভিন্ন ক্যাম্প স্থাপন করেছে। এসব ক্যাম্প থেকে পুণ্যার্থীদের রান্না করা খাবার, স্নান ঘাটে কাপড় পাল্টানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা হয়। আগত পুণ্যার্থীরা উৎসবের ব্যবস্থাপনা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশ্ববর্তী জেলা সিরাজগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা স্নান করতে যমুনা নদীতে আসেন।
স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে স্নান ঘাটে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘাটে স্নান করতে আসা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জানান, মনকে শুদ্ধি, পাপ মোচন, পবিত্রতা এবং মঙ্গল কামনায় স্নান করতে এসেছেন তারা। প্রতি বছরেই এই ঘাটে গঙ্গা স্নানে আসেন ভক্তরা।
আয়োজক কমিটির সভাপতি বাবলু হালদার জানান, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পাপ মোচনের আশায় যমুনা নদীতে স্নান করতে এসেছেন। প্রশাসনের সহযোগিতায় স্নানোৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পূর্ন হয়েছে।
ভূঞাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে স্নানোৎসবে শত শত পুণ্যার্থীর আগমন ঘটেছে। প্রশাসন থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্নান ঘাটে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল