নাটোরের বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি ইউনিয়নের আটঘরিয়া গ্রামে আবারও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত ১৩ এপ্রিল এক গৃহবধূ (২৪) গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ২২ দিন পর রবিবার রাত ১০টার দিকে ২৭ বছর বয়সী এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হলো। একই গ্রামে এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটনায় চারিদিকে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় বইছে।
এদিকে তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ ওই রাতেই ৫ জনকে আটক করলেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাত্র দুইজনকে আসামি করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। '
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জোয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদের জনৈক সদস্য জানান, তরুণীটির মা বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি আটঘরিয়া গ্রামের আকুল হোসেনের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন। সোমবার রাত ৮টার দিকে ওই তরুণীটিকেও কাজ দিবে বলে আকুল তার বাড়িতে ডেকে আনে। পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে আকুল সহ কয়েকজন ওই তরুনীকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে পাশ্ববর্তী কলাবাগানে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় কে বা কাহারা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রাতেই ওয়ালিয়া গ্রাম থেকে আজিজুল হক, রেজাউল, বাবুল মেম্বার, আব্দুর রহিম ও আকুল সহ আটঘরিয়া গ্রামের আরিফুল সেককে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ ও তরুণীর স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ আকুল হোসেনকে (৩৫) আসামি করে জেল হাজতে প্রেরণ করে ও বাকীদের ছেড়ে দেয়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ বিষয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আকুল হোসেনকে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল ওই গ্রামে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের স্বীকার হলে পুলিশ একই গ্রামের রাজু আহমেদ (২০) ও চান মিয়া ফকিরকে (২৮) আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার