গতবারের চেয়ে এ বছর ৩ টাকা কমে ৩২ টায় গম বীজ কিনছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি)। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে জেলার চুক্তিবদ্ধ ১৮শ' গম বীজ উৎদানকারী চাষি। তাই গমের বীজের দাম বৃদ্ধির দাবিতে চুক্তিবদ্ধ কৃষকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে স্মারকলিপি দিয়েছে।
বুধবার দুপুরে কৃষকরা বিএডিসি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনুল ইসলামের হাতে তুলে দেন। এ সময় কৃষকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চুক্তিবদ্ধ চাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি কুতুব উদ্দিন, বুলবুল আহম্মেদ, আল মামুন খান, ইউনুস আলী প্রমুখ।
স্মারক লিপিতে বলা হয়, এবার বিএসডিসির সাথে চুক্তিবদ্ধ ১৮শ' গম চাষি ৫ হাজার হেক্টর জমিতের গমের বীজের আবাদ করে। এ থেকে বীজ উৎপাদন হয় ২০ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর এই চুক্তিবদ্ধ গম চাষিরা ৩৫ টাকা কেজি দরে বিএডিসির কাছে গম সরবরাহ করে। কিন্তু এবার বিএডিসি কর্তৃপক্ষ গমের বীজের দর নির্ধারণ করে গত বছরের চেয়ে ৩ টাকা কমে অর্থাৎ ৩২ টাকা। এতে হতাশ চাষিরা। তাই চাষিদের কাছ থেকে গত বছরের দরেই অর্থাৎ ৩৫ টাকা দামে গমের বীজ কেনার দাবি জানিয়েছেন চুক্তিবদ্ধ কৃষকরা।
ঠাকুরগাঁও জেলায় বিএসডিসির ৩টি বীজ উৎপাদন জোনে ১৮শ' গম বীজ চাষির কাছ থেকে ৮ হাজার ১শ' মেট্রিক টন গম বীজ ক্রয় করেছে। জুলাই মাসের শেষ নাগাদ কৃষকের কাছে বীজের টাকা পরিশোধ করবে বিএডিসি।
চুক্তিবদ্ধ গম চাষি আল মামুন খান বলেন, মানসম্মত বীজ প্রক্রিয়াজাত করে শতকরা ১০ ভাগ থেকে সাড়ে ১০ ভাগ আদ্রতায় নেয় বিএডিসি। এতে কমপক্ষে প্রতি কেজিতে ৩৪ টাকার উপরে খরচ পড়ে যায়। ৩ মাস পরে বীজের টাকা পায় চাষিরা। এতে ২ টাকা লাভ না পেয়ে যদি ২ টাকা লোকশান পায় তা হলে চাষিরা কেমনে বাঁচবে। বিএডিসি যদি দ্রুত সময়ে গম বীজের মূল্য পুন:নির্ধারণ না করে তবে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন কৃষকরা।
চুক্তিবদ্ধ আরেক গম চাষি ইউনুস আলী বলেন, বিএসডিসি গত বছর চুক্তিবদ্ধ চাষিদের কাছে থেকে ৩৫ টাকা দরে বীজ কিনে বাজারে প্রত্যায়িত বীজ কৃষকদের কাছে বিক্রি করেছে প্রতি কেজি ৪৬ টাকা। আর বিএসডিসি চুক্তিবদ্ধ চাষিদের কাছে ভিত্তি বীজ বিক্রি করেছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ৫০ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়। আর উৎপাদন হয়েছে প্রায় ২ লাখ ১ হাজার মেট্রিক টন গম।
বিডি-প্রতিদিন/১২ জুন, ২০১৯/মাহবুব