পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পরিবেশকে সমুন্নত রেখে টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবো। এই লক্ষ্যে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। পরিবেশ দূষণ রোধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিষয়ে গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ বছরের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘বায়ু দূষণ’ এবং দিবসটির স্লোগান হচ্ছে ‘আসুন বায়ু দূষণ রোধ করি’। আর এবার জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-‘শিক্ষায় বন প্রতিবেশ-আধুনিক বাংলাদেশ’।মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, এবারের শ্লোগান দেশের জনসাধারণকে সচেতন করার মাধ্যমে বন-বৃক্ষকে জানার এবং টেকসই বন ও বন ব্যবস্থাপনার বিষয়ে উজ্জীবিত করবে। তিনি বলেন, মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন, সুন্দর পরিবেশ, নির্মল বায়ু এবং বৃক্ষরাজিতে আচ্ছাদিত একটি সুবজ দেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণ এবং সার্বিক সহযোগিতা অপরিহার্য।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ ও বায়ু দূষণ রোধে পরিবেশ মন্ত্রণালয় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে পরিবেশ অধিফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম আরও বাড়ানো হচ্ছে। পরিবেশ দূষণের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমাদের প্রত্যেককে সচেতন হওয়া দরকার। এ লক্ষ্যে জনগণের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানান কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
শাহাব উদ্দিন জানান, বিশ্ব পরিবেশ দিবস এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে শেরে বাংলা নগর বাণিজ্য মেলার মাঠে সাত দিনব্যাপী পরিবেশমেলা ও এক মাসব্যাপী বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২০ জুন সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩টি ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ৫টি ‘জাতীয় পরিবেশ পদক ২০১৯’, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অবদান রাখার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন’ ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার’ এবং সামাজিক বনায়নে সুবিধাভোগীদের মধ্যে চেক বিতরণ করা হবে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী জানান, এবারের বৃক্ষমেলায় স্টলের সংখ্যা থাকবে ১০০টি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সারা দেশে বিক্রয় ও বিতরণের জন্য ৬৯ লক্ষ ৪৫ হাজার চারা উত্তোলন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ লাখ চারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণের মাঝে বিতরণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ. কে. এম. রফিক আহাম্মদ ও প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরী।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
