জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রক্ষা পেল রাঙামাটি-চট্টগ্রামের ঘাগড়া সড়ক। বৃহস্পতিবার বিকালে টানা বর্ষণে ভাঙ্গতে থাকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম ঘাগড়া সড়কটি। তাতেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পরে স্থানীয়দের মধ্যে। পরে যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারি বৃষ্টির কারণে উদ্বেগজনকভাবে রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়া কলাবাগ এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। সড়কের একটি বিশাল অংশ ধসে বিলিন হয়ে যায়। পাহাড়ি ঢলের স্রোতের কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল সড়কটি। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট সদস্য ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় বালির বস্তা ও গাছের খুঁটি দিয়ে রক্ষা করা হয় সড়কটি।
অভিযোগ উঠেছে, গত শনিবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ভাঙ্গতে থাকে রাঙামাটি চট্টগ্রামের ঘাগড়া সড়কটি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের বার বার তাগিত দেওয়া হলেও উল্লেখযোগ্য কোন কাজ করেনি তারা। ফলে বৃষ্টির স্থায়ীত্ব বাড়ার সাথে সাথে ধসতে তাকে সড়কের মাটি। সড়কের একটি অংশ ভেঙ্গে নিচে পরে গেলে চরম আতঙ্ক দেখা দেয় স্থানীয়দের মধ্যে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। পরে তিনি নিজ উদ্যোগে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট সদস্য ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় দিনব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে সড়কটির ভাঙ্গন প্রতিরোধ করেন।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু মুছা জানান, বৃষ্টির তীব্রতার কারণে সড়ক মেরামত কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। শ্রমিকরা কাজ করতে পারছিল না। তাই বৃষ্টি না কমা পর্যন্ত সড়ক মেরামত কাজ সম্ভব না।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ পাহাড় ধসে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বিরাট একটি অংশ ভেঙ্গে প্রায় ২০০ ফুট নিচে পরে যায়। এতে বিচ্ছিন্ন হয় যায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। পাহাড় বন্দি হয়ে পরে রাঙামাটির মানুষ। দেখা দেয় মারাত্মক জনভোগান্তি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ