লক্ষ্মীপুরে ভারি বর্ষণে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন পৌর এলাকার দুই শতাধিক পরিবার। পানির কারণে শহরের কয়েকটি সড়কে যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পৌর বাসিন্দারা। পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যত্রতত্র বাড়ী ঘর নির্মাণ, পুকুর ভরাট ও পানি নিষ্কাসনে বাধার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতনরা।
সরেজমিন বুধবার বিকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাগবাড়ি, সমসেরাবাদ, লামছরী, বাঞ্চানগরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাসা বাড়ীর সামনে হাঁটু পরিমান পানি ছুই ছুই করছে। জরুরি কোনো কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না এসব এলাকার বাসিন্দারা। গত দুই দিনের টানা ভারি বর্ষণে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে পৌর এলাকায় পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে এমন পরিবারের সংখ্যা দুই শতাধিকের কম নয়। এসব এলাকায় বৃষ্টির পানি, ময়লা-আবর্জনা মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এখন। এসব ময়লা পানি ঘরেও ঢুকছে। ফলে পানিবাহিত রোগ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে শহরের শেখ রাসেল সড়ক, গরু হাটা, মিয়া বাড়ি সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক। এসব সড়কে যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। পথচারীরাও গন্তব্যে পৌঁছাতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সড়কের পাশে যেসব ড্রেন রয়েছে এসব ড্রেনে পানি নিস্কাসন হচ্ছে না। রাস্তার উপরে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
পৌরবাসীন্দারা জানায়, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যত্রতত্র বাড়ী ঘর নির্মাণ, যার যার মতো করে পুকুর ভরাট করা আর কোথাও পারিবারিক দন্ধে পানির গতিরোধ করে বাধ দেয়ায় পানি নামছে না। এতে জলাবদ্ধ হয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
কেউ কেউ বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার নামে কোটি কোটি টাকার কাজ করা হচ্ছে পৌরসভায়। কিন্তু তা জলাবদ্ধতা নিরসনে তেমন কাজে আসছেনা।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কামাল উদ্দিন খোকন জানান, ‘পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ সরকারিভাবে অবৈধ হলেও তা অনেকে মানছেনা, কোথাও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে পানি আটকে রাখা হচ্ছে। এছাড়া পৌরসভায় পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব আর খালের পানির প্রবাহ কম থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি। জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর মেয়র আবু তাহেরের নির্দেশনায় আমরা সবাই নিরলসভাবে কাজ করছি।”
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ