১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২১:৩৬

কিশোর মিলন হত্যায় এসআইসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

কিশোর মিলন হত্যায় এসআইসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

মিলন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মিলন হত্যা মামলায় পুলিশের এসআই আকরাম শেখসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত। একই সাথে পলাতক ২১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। 

সোমবার বিকালে জেলার ২ নং আমলী আদালতের সিনিয়রন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান এ আদেশ দেন।

২০১১ সালের ২৭ জুলাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারে পুলিশের গাড়ি থেকে কিশোর শামছুদ্দিন মিলনকে নামিয়ে দেওয়ার পর একদল লোক ‘ডাকাত’ সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।

কোম্পানীগঞ্জের চর ফকিরা গ্রামের কিশোর মিলন ২০১০ সালে স্থানীয় কবি নজরুল উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হলেও অর্থের অভাবে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। ঘটনার দিন বিদেশ থেকে বাবার পাঠানো ১৪ হাজার টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রির জন্য উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে চর কাঁকড়া ব্যাপারী স্কুলের মসজিদের সামনে ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন ও সহযোগী মিজানুর রহমান মিলনের পরিচয় জানতে চান। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরও তারা মিলনের সঙ্গে থাকা মুঠোফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে তাকে পুলিশে দেয়। পরে পুলিশ থানায় নেওয়ার পথে টেকেরবাজারে বিক্ষুদ্ধ জনতার হাতে তাকে ছেড়ে দেয়। সেখানে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার কয়েকদিন পর মঠোফোনে ধারণকৃত ভিডিওচিত্রে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের খবর গণমাধ্যমে ওঠে আনলে এনিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় উঠে। 

এ ঘটনায় মিলনের মায়ের দায়ের করা মামলায় ২০১৫ সালের জুলাই মাসের প্রথম দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) ওসি  আতাউর রহমান ভূঁইয়া মামলায় তদন্তে ভিডিওচিত্র দেখে হত্যার ঘটনায় সনাক্ত হওয়া ২৭ ব্যক্তি ও চার পুলিশ সদস্যসহ ৩২ জন আসামির সবাইকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন।  

মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে গত ৯ মার্চ সিআইডির কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহম্মদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে চর কাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন সদস্য জামাল উদ্দিন, তাঁর সহযোগী মিজানুর রহমান মানিকসহ ২৯ জনকে অভিযুক্ত করা হলেও কোনো পুলিশ সদস্যকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।

এ বিষয়ে শুনানী শেষে বিচারক হত্যার সময় উপস্থিত থাকা কোম্পানীগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই আকরাম শেখকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভূক্ত করার নির্দেশ দেন। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হওয়ায় তাকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়। অপরদিকে ৭ জন জামিনে থাকায় পলাতক ২১ জন।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর