সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে এক নার্স গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এঘটনায় অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে ধর্ষিতা কিশোরীর ভাই শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ধর্ষকরা হলেন- কামারখন্দ উপজেলার কুটিরচর গ্রামের দুলাল সেখের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২০) এবং একই এলাকার মোকাদ্দেস আলীর ছেলে নাইমুল হক (২০)। গণধর্ষণের শিকার কিশোরী উল্লাপাড়া উপজেলার বামনগিয়ালা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কেয়ার হাসপাতালের নার্স।
মামলার বরাদ দিয়ে কামারখন্দ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, অভিযুক্ত আশরাফুল ওই কিশোরী নার্সের পূর্ব পরিচিত ছিলো। রবিবার রাতে উল্লাপাড়া থেকে আশরাফুলের সাথে ওই কিশোরী সিরাজগঞ্জে আসছিল। পথিমধ্যে কামারখন্দ উপজেলার কুটিরচর এলাকার ইউক্লিপটাস গাছের বাগানের কাছে পৌঁছলে আশরাফুল অপর তিন বন্ধুকে ফোন করে ডেকে নিয়ে আসে। পরে তারা কিশোরীকে জোর করে একটি নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রাচীরের ভেতরে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক রাতভর কয়েক বন্ধু মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।ভোর রাতে কুটিরচর এলাকায় ওই কিশোরীকে ফেলে তারা পালিয়ে যায়। সকালে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর ভাই শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত চারজনের নাম উল্লেখসহ ২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করেন।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, মামলার পর অভিযুক্ত দুজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে। বর্তমানে ওই কিশোরী থানা হেফাজতে রয়েছে। মঙ্গলবার ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
