বাগেরহাটে মানববন্ধনে নিহত আনছার আলীর পঙ্গু স্ত্রী মঞ্জ বেগম তার স্বামীসহ দুই আওয়ামী লীগ নেতার হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মোরেলগঞ্জে দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদার ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শেখ শুকুর হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর মঙ্গলবার দুপুরে দৈবজ্ঞহাটি বাজারে হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধন হয়।
এতে নিহতদের পরিবারের সদস্য, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুই সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত আওয়ামী লীগ নতো আনছার আলী দিহিদারের ছেলে মেহেদী হাসান শাওন, মেয়ে সাবরিনা আফরিন সুমি, সন্ত্রাসীদের হামলায় পঙ্গু স্ত্রী মঞ্জ বেগম, নিহত শেখ শুকরের ভাই দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন, দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোসা. পারুল আক্তার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খান কিসলুর রহমান, ইউপি সদস্য হায়দার আলী বেগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আকন হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের এক বছর হলেও হত্যার সাথে জড়িত অনেক সন্ত্রাসী এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। যেসব আসামি এখনও গ্রেফতার হয়নি তাদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা। যারা জামিনে বের হয়েছে তারা এখন নিহতদের পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এর থেকে আমরা প্রতিকার চাই।
২০১৮ সালের ১লা অক্টোবর দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদার ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শেখ শুকুরকে তৎকালীন দৈবজ্ঞহাটি ইউপি চেয়ারম্যান ফকির শহিদুল ইসলামের নের্তৃত্বে সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে। একই সাথে পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে দেওয়া হয় নিহত আনছার আলীর স্ত্রী মঞ্জু বেগম এবং যুবলীগ কর্মী বাবুল শেখের। এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জে থানায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক ৩টি মামলা হয়। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ ৫৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ফকির বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল