পদ্মা ও মহানন্দা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চলের প্লাবিত পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ১ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩০ সে.মি এবং মহানন্দা নদীর পানি ১১ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে ২২ সে. মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব।
অনেকেই প্লাবিত এলাকায় সরকারী ত্রাণের আশা করছেন। জানা গেছে, ভারত ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি গেটের মধ্যে সবকটি গেট খুলে দেয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ২০ দিন ধরে পদ্মা ও মহানন্দা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পানিতে ডুবে গেছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বিঘা জমির মাষকলাই ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল। প্লাবিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। অনেক বাড়ির ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া বাড়ির চারপাশে পানি উঠে যাবার কারণে গবাদি পশু নিয়ে বিপদে পড়েছেন ওই অঞ্চলের মানুষ। এছাড়া বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে। প্লাবিত এলাকার মানুষজন অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাদের সরকারি ত্রান প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকেই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল প্লাবিত এলাকায় সরকারি ত্রাণ বিতরণ করলেও আরও ত্রানের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান। অন্যদিকে, স্থানীয় জেলা প্রশাসন জানিয়েছে এ পর্যন্ত প্লাবিত এলাকায় ২১ মে. টন চাল বিতরণ করা হয়েছে এবং আরও চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে গত ১২ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ায় বন্যার কোন সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের মতে পানি বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ায় আগামী কয়েক দিনের মধেই পানি কমতে শুরু করবে এমনটিই তাদের প্রত্যাশা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল