টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইলিয়াছ ওরফে ইলু (৩৫) হত্যাকাণ্ডের তিন মাস ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মামলার এজাহারভুক্ত একজন আসামিকেও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখীপুর থানার এসআই ওমর ফারুককে আসামি ধরতে বলা হলে তিনি নানা তালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী নিহতে বড় ভাই সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবার। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আসামি পক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ারও অভিযোগ করেন তিনি।
আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কাছে মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নালিশ করলে তিনি তার সামনেই সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে চূড়ান্ত চার্জশিট দেওয়ার নির্দেশ দেন। এতেও ওই হত্যাকাণ্ডের এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার না করা ও চার্জশিট না দিয়ে নানা তালবাহানা করায় ইলিয়াছ ওরফে ইলু হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে নিহতের পরিবার শঙ্কায় রয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে দুই সন্তানের জনক ইলিয়াছ ওরফে ইলু (৩৫) নিখোঁজের দুইদিন পর গত ৩০ জুন বিকালে বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দূরে একটি জঙ্গলে গাছে রশি দিয়ে বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে সখীপুর থানা পুলিশ। পরের দিন ১ জুলাই নিহতের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে দাঁড়িয়াপুর সারপেচ গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে মো. কাশেম মিয়া (৩৭), তার বড় ভাই মো. আতোয়ার রহমান (৪৬), লাল মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (৩৩), মৃত জলফু মিয়ার ছেলে আলাবক্স (২৮) এবং চান মাহমুদের ছেলে মংলা মিয়াকে আসামি করে সখীপুর থানা হত্যা মামলা করেন। ( মামলা নং-১, ধারা ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড)।
মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই ইলু হত্যাকাণ্ডের আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না। আসামি ধরার তাগিদ দিলে উল্টো তিনি আমাদেরকেই আসামি ধরিয়ে দিতে বলছেন। চার্জশিট দিতেও নানা তালবাহানা করছেন। তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তার ভাই হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করে তাদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওমর ফারুক তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) এএইচ এম লুৎফুল কবির বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ইলু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি খুব দ্রুতই আসামিরা গ্রেফতার হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম