কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এক রোহিঙ্গাসহ দু'জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১২ অক্টোবর) ভোরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের পর্যটন বাজারের উত্তরের মালিরছড়া পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, নিহত দু’জনই তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা কারবারী। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
নিহতরা হলেন- টেকনাফ সদরের হাতিয়ারঘোনার হাজী হামিদ হোসেন প্রকাশ দালাল হামিদের ছেলে আহাম্মদ হোসেন (৪৫) ও নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লক, ২৮ সেট নম্বরের বাসিন্দা মৃত কালা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান (৪৬)।
পুলিশের ভাষ্যমতে, এ ঘটনায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিন সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি এলজি, ৪ রাউন্ড শটগানের তাজা কার্তুজ এবং ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারী ও ৬ মামলার পরোয়ানাভূক্ত আসামি আহম্মদ হোসেন ও আব্দুর রহমানকে আটক করে পুলিশের একটি টিম। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য ও স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, শনিবার ভোরে সদরের পর্যটন বাজার উত্তরের মালিরছড়া পাহাড়ি এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে অস্ত্রধারী ইয়াবা কারবারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় অস্ত্রধারীরা কৌশলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়ের পর ঘটনাস্থল থেকে আহম্মদ হোসেন ও আব্দুর রহমানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্যা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রণয় রুদ্র জানান, ‘পুলিশ রাতে দু’জন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন, তাদের শরীরে বুকে ও পিঠে তিনটি করে গুলির আঘাত রয়েছে। এছাড়া আহত এসআই বাবুল ও এএসআই অহিদ ও কনস্টেবল মালেকুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওসি আরো জানান, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল