শরীয়তপুরের ডামুড্যায় পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ না করতে দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার আরিফুর ইসলাম নামের এক কনেস্টবল আহত হয়ে ডামুড্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে কনেকশ্বর গ্রামের হাফিজ গোলন্দাজ (২৪) ও রিফাত হোসেন গোলন্দাজ এই হামলা করেছে। হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ডামুড্যায় জেএসসি পরীক্ষার কনেশ্বর কেন্দ্রের আলহাজ্ব আলী আহম্মদ সরদার ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসায় হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডামুড্যা উপজেলা থেকে অভিযুক্ত হাফিজ ও রিফাতকে আটক করেছে পুলিশ।
ডামুড্যা থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্ব নির্ধারিত সময় জেএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা পর হঠাৎ পরীক্ষা কেন্দ্রের বাহিরে থাকা বহিরাগত হাফিজ গোলন্দাজ (২৪) ও রিফাত হোসেন গোলন্দাজ (২৩) নামের দুই যুবক প্রথমে গেটে দিয়ে কেন্দ্রে ঢুকার জন্য চেষ্টা করে। তখন পরীক্ষা কেন্দ্র দায়িত্বরত পুলিশ কনেস্টবল আরিফুর ইসলাম তাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। তখন কিছু না বুজে ওঠার আগেই তারা পুলিশের ওপর হামলা করে এবং তার গায়ের ইউনিফর্ম ছিড়ে ফেলে। কেন্দ্র উপস্থিত কনেশ্বর এসসি এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক মো. সুলাইমান থামানোর চেষ্টা করলে হামলা কারিরা পালিয়ে যায়। পরে আহত কনেস্টবলকে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলরুবা শারমিন বলেন, আমরা এ ঘটনাটি হালকাভাবে নিচ্ছি না। এটিকে তিনটি বিষয়ের ওপরে নজর দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) মো. মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত হাফিজ ও রিফাতকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আর কনেস্টবল আরিফুর ইসলাম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন