এবার পিয়াজের সাথে অন্যতম ধান উৎপাদনকারী জেলা দিনাজপুরের বাজারে হঠাৎ চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা। কোনো কারণ ছাড়াই দিনাজপুরের বাজারে চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
মিলারদের কাছে পর্যাপ্ত চাল মজুদ থাকার পরেও সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়ানোর অভিযোগ করছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা।
পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, এটা মিলারদের কারসাজি। এধরনের দাবি কোনো মতেই যৌক্তিক নয় বলে পাল্টা মন্তব্য করেছেন চালকল মালিক গ্রুপের নেতারা।
নিমনগর বাসস্ট্যান্ডের এক ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন জানান, দিনাজপুর শহরের পুলহাটের বিভিন্ন মিলের চেয়ে জহুরার মিলের চালের দাম সবসময় একটু বেশী। আমি কয়েক মিলে চাহিদা অনুযায়ী চালের বস্তা নিতে চাইলে সেই অনুযায়ী চালের বস্তা কিনতে পারেনি।
চালের মূল্য বৃদ্ধিতে যেভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করে দিনাজপুর চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন জানান, সরকার ঘোষিত ধান চালের মূল্য অনুযায়ী বাজারে সেই পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি হলে কৃষকরা ধানের দাম পাবে।
তিনি আরও জানান, চাল বা ধানের বাজার দু-তিন টাকা বেড়েছে। আমি মনে করি, সরকার যে মূল্য দিয়েছে তার থেকে বাজারে চালের মূল্য এখনও কম আছে। আর নতুন ধান বাজারে আসার সাথে সাথে দাম আবার স্থিতিশীল হবে বলে মনে করি।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর দিনাজপুরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানান, এবারেও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এবার দিনাজপুরে ২ লাখ ৫৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম