১৭ নভেম্বর, ২০১৯ ১৭:৫৭

দিনাজপুরে পিয়াজের সাথে এবার বেড়েছে চালের দাম

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে পিয়াজের সাথে এবার বেড়েছে চালের দাম

ফাইল ছবি

এবার পিয়াজের সাথে অন্যতম ধান উৎপাদনকারী জেলা দিনাজপুরের বাজারে হঠাৎ চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা। কোনো কারণ ছাড়াই দিনাজপুরের বাজারে চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। 

মিলারদের কাছে পর্যাপ্ত চাল মজুদ থাকার পরেও সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়ানোর অভিযোগ করছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। 
পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, এটা মিলারদের কারসাজি। এধরনের দাবি কোনো মতেই যৌক্তিক নয় বলে পাল্টা মন্তব্য করেছেন চালকল মালিক গ্রুপের নেতারা।

জানা যায়, বাজারে প্রকারভেদে ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় বেড়েছে ১০০ থেকে ২শ টাকা। ৫০ কেজির বস্তায় ২৮ সিদ্ধ চাল আগে বিক্রি হতো ১৬৩০ টাকায় এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭৪০ থেকে ১৮০০ টাকায়, ২৯ সিদ্ধ চাল প্রতিবস্তা ১৪৫০ থেকে বেড়ে ১৭০০ টাকায়, গুটি স্বর্ণা প্রতি বস্তা ১৫০০ বেড়ে ১৫৫০ টাকা, মিনিকেট ১৯০০ থেকে বেড়ে ২১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনি গুড়া প্রতি বস্তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০০ টাকায়। কাটারি চাল দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা। তবে আতপ চালের দাম বাড়েনি। গত এক সপ্তাহে প্রকারভেদে চালের দাম বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ অবস্থায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন।

নিমনগর বাসস্ট্যান্ডের এক ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন জানান, দিনাজপুর শহরের পুলহাটের বিভিন্ন মিলের চেয়ে জহুরার মিলের চালের দাম সবসময় একটু বেশী। আমি কয়েক মিলে চাহিদা অনুযায়ী চালের বস্তা নিতে চাইলে সেই অনুযায়ী চালের বস্তা কিনতে পারেনি। 

চালের মূল্য বৃদ্ধিতে যেভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করে দিনাজপুর চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন জানান, সরকার ঘোষিত ধান চালের মূল্য অনুযায়ী বাজারে সেই পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি হলে কৃষকরা ধানের দাম পাবে।

তিনি আরও জানান, চাল বা ধানের বাজার দু-তিন টাকা বেড়েছে। আমি মনে করি, সরকার যে মূল্য দিয়েছে তার থেকে বাজারে চালের মূল্য এখনও কম আছে। আর নতুন ধান বাজারে আসার সাথে সাথে দাম আবার স্থিতিশীল হবে বলে মনে করি। 

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর দিনাজপুরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানান, এবারেও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এবার দিনাজপুরে ২ লাখ ৫৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর