ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর মিয়ানমার থেকে চলতি মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চালান টেকনাফ স্থল বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এসব পিয়াজ খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত সাড়ে নয়টায় পর্যন্ত টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের ১ হাজার ৭০৯ টন পিয়াজ খালাস করা হয়েছে। ১২ জন ব্যবসায়ী এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আফসার উদ্দিন।
শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আসা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে চলতি নভেম্বর মাসে ১৭ দফায় ৩৬ হাজার ৭৭৩ মেট্রিক টন পিয়াজ এসেছে। এর আগে গত ৭ নভেম্বর ১ হাজার ৮১৬ মেট্রিক টন পিয়াজ আমদানি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চালানে ১ হাজার ৭০৯ মেট্রিক টন পিয়াজ এসেছে। ১২ জন ব্যবসায়ীর কাছে ১৫ টি ট্রলারে করে এসব পিয়াজ টেকনাফ স্থল বন্দরে আসে।
স্থানীয় আমদানিকারকরা জানান, দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য তারা মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি করছেন। আসার পথে অনেক পিয়াজ তাদের নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশের সংকট মোকাবেলায় আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
তবে মিয়ানমারের পিয়াজের দাম বেড়ে গেছে তাই পিয়াজ আমদানি দিন দিন কমছে। এরমধ্যে চলতি মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চালানটি টেকনাফে আনা হয়েছে। এসব পিয়াজ স্থল বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরের সরবরাহ করা হচ্ছে।
স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ডপোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জানান, মিয়ানমার থেকে আসা পিয়াজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে খালাস করা হচ্ছে। রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬৫ টি পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক স্থলবন্দর ছেড়ে গেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল