তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, ডিজিটাল পদ্ধতির কারণে জনগণকে আর হয়রানির শিকার হতে হয় না। স্বল্প সময়ে অল্প খরচে ঘরের কাছে অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদে মানুষ সেবা পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সুযোগ্য সন্তান সজিব ওয়াজেদ জয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে। যুব সমাজকে মাদকমুক্ত করার জন্য খেলাধুলার প্রতি সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। গ্রামে গ্রামে মাঠ সংস্কারে অনুদান দিচ্ছে।
সরকার আইসিটি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮ হাজার শেখ রাসেল কম্পিউটার স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিতে দক্ষ গড়ে তোলা যায়। সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ চলছে। বিগত ১০ বছরে সিংড়ার জনগণের দাবি সরকার পূরণ করেছে। কিছু দাবি আছে পর্যায়ক্রমে তা পূরণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন ও সুশাসনের জন্য ভালোবাসা, দায়িত্ব, কর্তব্য থাকতে হয়। বিগত দিনে জনপ্রতিনিধিদের এসবের অভাব ছিল। যার জন্য জনগণ অবহেলিত ছিল। উন্নয়ন এবং ভালোবাসা পায়নি। আমি সিংড়াকে আদর্শ ও মানবিক সিংড়া গড়তে চাই।
সিংড়াকে জুয়া মুক্ত করেছি, মাদক নির্মুলে সরকার কাজ করছে। ১০ বছরে সিংড়াকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করত সক্ষম করেছি। প্রতিটা গ্রামকে শহরে রুপান্তর এবং নিজ নিজ বাড়িতে গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।
শনিবার সকাল ১১টায় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন।
সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ নাজিস, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন, সুকাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক হালিম মো. হাসমত, ইউপি মেম্বার আব্দুল জলিল, সিংড়া থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউপি সদস্য শাহিন শাহ।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম