হাওড়াঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, ফসল রক্ষা ও জীবন মান উন্নয়নে ২ হাজার ২৪৮ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার ডুবন্ত বাঁধ নির্মাণ করা হবে। খনন করা হবে ৭৮ কিলোমিটার খাল/নদী। তৈরি করা হবে ইরিগেশন ইনলেট, বক্স ড্রেনেজ আউটলেট, চাতালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৫৮৪.১২ কোটি (২৬ শতাংশ) টাকা আসবে সরকারি তহবিল (জিওবি) হতে। এ ছাড়া প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ১ হাজার ৬৬৪ কোটি (৭৪ শতাংশ) টাকা সরবরাহ করবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। গতকাল ‘হাওড় এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক এই প্রকল্পটি নিয়ে জাইকার সঙ্গে আলোচনা অনেকটা চূড়ান্ত করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর তেরুয়াকি ফুজির নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে প্রকল্পটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হাওড়ের বাঁধ সুরক্ষা প্রকল্প নিয়ে জাইকার সঙ্গে আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত। সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার ১১টি হাওড় প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে হাওড় এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বোরো ধানকে আগাম বন্যা হতে রক্ষা করা এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাওড়সমূহের ডুবন্ত বাঁধে বিভিন্ন ধরনের ঢাল প্রতিরক্ষা কাজ সম্পাদন করে টেকসই ডুবন্ত বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে কৃষি খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি করা ও প্রকল্প এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করা। প্রস্তাবিত এ প্রকল্পের সম্ভাব্য মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০২৬ সালের জুলাই থেকে ২০৩৩ সালের জুন পর্যন্ত। আগামী বছর মার্চ মাসে প্রকল্পটি একনেকে উপস্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে।