বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের ভিতর একটি মহল চেষ্টা করছে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। তবে এসব ঝামেলা সহজেই সমাধান হতো, যদি তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হতো। ১০ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিলে আজকের সমস্যাগুলো হতো না। সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অতি দ্রুত সনদ সংস্কারের কাজ শেষ করুন, জটিলতা না বাড়িয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
‘বর্ষীয়ান রাজনীতিক কাজী জাফর আহমদের ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভাসানী জনশক্তি পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন দলটির মহাসচিব আবু ইউসুফ। সভায় আরও বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নাজমুল হক নান্নু প্রমুখ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ’৭১ কে ভুলিয়ে দেওয়ার অনেক প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু তা সম্ভব নয়। কারণ আমরা আমাদের চোখের সামনে ভাইদের গলা কাটতে দেখেছি, মা বোনের ইজ্জত নিতে দেখেছি। যারা সেদিন সহযোগিতা করেছে, তারাই আজ বড় বড় কথা বলছে। আমাদের এখন অনেক বেশি সজাগ থাকতে হবে। যদি ভাবি সব ঠিক হয়ে গেছে, তাহলে এটা অনেক বড় ভুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ইদানীং একটা বিষয় দেখে খারাপ লাগে, যেদিকে তাকাই সব প্রতিষ্ঠানেই দুর্নীতি। সেদিন এক ব্যবসায়ী বলছিলেন যে আগে যদি ১ লাখ টাকা দেওয়া লাগত, এখন দেওয়া লাগে ৫ লাখ টাকা। আমাদের মননে যে পরিবর্তনটা আনার দরকার ছিল, সেটা হয়নি। রাজনৈতিক নেতারাও এসবের মধ্যে জড়িত হয়ে পড়ছেন। যেটা দেশের আরও বেশি ক্ষতি করছে। বাংলাদেশকে বাঁচানোর জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার।
তিনি বলেন, সরকারের কাছে বলতে চাই, সংস্কারের জটিলতা দ্রুত শেষ করেন। নির্বাচনের চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন এবং তার মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বকে নিশ্চিত করুন। যারা ফায়দা নিতে চায়, তারা কেউ বসে নেই।