বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আবদুল মোমেন খানের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে নরসিংদীতে যাচ্ছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও নরসিংদী-১ আসনে এমপির নির্বাচনী এলাকায় মহাসচিবের আগমনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানেন না জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাই তৃণমূল নেতাকর্মীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, স্মরণ সভা উপলক্ষে দলের মহাসচিবসহ এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের আগমনের কথা জানিয়েছেন ওই সভার আহ্বায়ক। তবে অনুষ্ঠানে অতিথি করা হয়নি বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনকে।
অতিথি করা হয়নি জেলার অন্যান্য উপজেলার সাবেক এমপিদেরও। তাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, জেলা বিএনপিকে পাশ কাটিয়ে অনুষ্ঠান করাটা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে প্রভাব পড়বে। দলের ভেতরেও বিভক্তি দেখা দিতে পারে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আবদুল মঈন খানের মরহুম বাবার ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদী সিএন্ডবি রোডের বধুয়া কমিউনিটি স্টেন্টারে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে আবদুল মোমেন খান স্মৃতি সংসদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আব্দুর রবসহ এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতার।
দলের মহাসচিব নরসিংদী সদর আসনে আসলেও অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে জানেন না জেলা বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরা। যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের নির্বাচনী এলাকায় দলের মহাসচিব আসলেও যুগ্ম-মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতিকে অতিথি করা হয়নি। আর এজন্য এরইমধ্যে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেছে জেলা বিএনপি।
যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদুৎ বলেন, আমাদের মহাসচিব নরসিংদী আসবে, বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে আমরা জানি না। তবে খবর পেয়েছি। আসলে জেলা বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে স্মরণ সভা আয়োজন করা হলে বিষয়টা আরও সুন্দর হতো। এখন তৃনমূল নেতাকর্মীরা আমাদের মহাসচিবের আগমনের বিষয়ে জানতে চাইলে সঠিকভাবে কিছু বলতে পারি না। বিষয়টা আমার জন্য বিব্রতকর।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার বলেন, জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা আবদুল মোমেন খানের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও স্মরণ সভার আয়োজন করেছি। এখন আরেকটি সংগঠন করছে। সেখানে কি কারণে জেলা বিএনপিকে রাখা হয়নি, তা আমার জানা নেই। দলের মহাসচিব একটা বড় বিষয়। জেলা বিএনপিকে রাখা হলে দল আরও চাঙ্গা হতো।
আবদুল মোমেন খান স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক ও সাবেক শহর বিএনপির সভাপতি বাবুল সরকার বলেন, এটি একটি অরাজনৈতিক প্রোগ্রাম। তাই জেলা বিএনপিকে যুক্ত করা হয়নি। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে। এখানে বিভক্তি বা কোন্দ্বলের কোন বিষয় নেই।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত