চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামে গরু চুরির ঘটনায় পুলিশি অভিযানে মারপিট ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছে আট জন। পুলিশের পিটুনিতে গ্রামবাসি আহতের ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে হিজলগাড়ি ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই প্রভাস কুমার সাহাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসি ও পুলিশ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।
গ্রামবাসিদের অভিযোগ, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের বসুতিপাড়ার হাসিবুল ইসলামের বাড়ি থেকে গতকাল বুধবার দুপুরে একটি গরু চুরি হয়ে যায়। ঘটনার পরপরই গরু চুরির বিষয়টি জানাজানি হলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে রাস্তায় একটি ভ্যান থেকে চুরি করা গরুসহ দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের বড় দুধপাতিলা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে রফিকুল ইসলাম ধরা পড়ে। রফিকুল ইসলামকে আটক করে দোস্ত গ্রামে নিয়ে এলে গ্রামবাসি তাকে ধরে মারধোর করে।
এরমধ্যে খবর পৌছে যায় পুলিশের কাছে। হিজলগাড়ি ক্যাম্পের চার পুলিশ সদস্য গ্রামে অভিযান চালায়। পুলিশ সদস্যদের কেউ কেউ সাদা পোশাকে থাকায় গ্রামবাসিদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশসহ আহত হয় আট জন। আহতরা হলেন গ্রামের পরান বিশ্বাস (৫৫), স্ত্রী কমলা বেগম (৪২), বড় ছেলে সোহেল হোসেন (২৮) ও ছোটো ছেলে মোহাম্মদ সাজু (২০) ও মৃত জাহিদ হোসেনের ছেলে সোহান হোসেন (৩০)। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আহত হয় কনেস্টবল পার্থ ও কনেস্টবল সুজন।
ঘটনার বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে বুধবার রাতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে হিজলগাড়ি ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই প্রভাস কুমার সাহাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গ্রামে অভিযান প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, সকল পুলিশ সদস্য নয়, কেউ কেউ সাদা পোশাকে ছিল।
তিনি বলেন, গরু চুরি নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। গরু চুরির সাথে জড়িত যে সে তার মামার গরু চুরি করে। এজন্যই গ্রামে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ