চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত তিনদিন ধরে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। চুয়াডাঙ্গার হাসপাতালগুলো শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বেড়ে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সিলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হঠাৎ অনেক কমে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন। শ্রমজীবী মানুষ কর্মক্ষেত্রে যেতে পারছেন না। এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার রাতে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, পর্যায়ক্রমে জেলার সব এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ২২ ডায়রিয়া রোগী। তীব্র শীতের কারণেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত রোগে শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা শিশু ওয়ার্ডেও রোগীর চাপ বেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সামাদুল হক জানান, আগামী ২-৩ দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা কম থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল/শফিক