সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়, অতঃপর প্রেম। এক পর্যায় কলমা পড়ে বিয়ে করে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামের বায়জিদ আহম্মেদ এবং চাকামইয়া ইউনিয়নের চুঙ্গাপাশা গ্রামের পিতৃহীন এক তরুণী। স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন বরিশালের অনেক হোটেলে রাত্রীযাপন করেছেন তারা। বর্তমানে পরিবারের চাপে প্রভাবিত হয়ে ওই তরুণীকে মেনে নিতে চাইছে না বায়জিদ। স্বামীর অধিকার না পেলে মৃত্যু ছাড়া তার আর কোন পথ থাকবে না।
রবিাবর রাত সাড়ে আটটার দিকে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে এসব কথা বলেন কলেজ পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থী। এ সময় প্রেসক্লাবের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তরুণী বলেন, সে বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আর বায়জিদ একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়রিং শাখার একাদশ সেমিষ্টারের ছাত্র। ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারী বায়জিদ তাকে কাজি ডেকে বিয়ে করে। বর্তমানে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করায় ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর স্বামীর দাবি নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যায় ওই তরুনী। পরে স্থানীয় মকবুল দফাদারের মাধ্যমে কাবিন করার কথা ছেলের মামা ফয়সাল তাকে কলাপাড়া এনে সালিস বৈঠক বসান। সেখানে তারা কাবিনের বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে তরুণীকে বড় অংকের টাকার প্রস্তাব দেন। যাতে বিয়ের বিষয়টি পুরোপুরি ভুলে যায়। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে দ্বিতীয়বারের মত সে তার অধিকার আদায়ের জন্য আবারও শ্বশুর বাড়ি যায়। পরে তার শ্বশুর নজির হাওলাদার তার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে। সে তাকে তার বাড়ি থেকে কলাপাড়ায় আনার জন্য অনেক চেষ্টা করেন। পরে তরুণী রাজি না হওয়াতে সুষ্ঠু সমাধানের কথা জানিয়ে কলাপাড়া থানার এএসআই শওকত জাহানের মাধ্যমে তাকে থানায় নিয়ে আসে।
থানার আনার পরে তারা বলে তাদের কিছুই করার নেই। বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তার নলেজে আছে। এছাড়া বিষয়টি তাদের গ্রাম ও কলেজের সবাই জেনে গেছে। সে কারণে সে কারও কাছে মুখ দেখাতে পারছে না। তাই স্বামীর অধিকার আদায়ের জন্য তিনি প্রশাসনসহ সবার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে বায়জিদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে তার পিতা নজির হাওলাদার জানান, তার ছেলের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে হয়নি। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য সে তাদের ব্লাকমেইল করছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার