প্রজনন মৌসুমে শিকার নিষিদ্ধ কাঁকড়া ধরা ও ক্রয় বিক্রয়ের অভিযোগে সাতক্ষীরার সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় দুই মণ কাঁকড়া জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে টানা দুই ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান চলানো হয়।
অভিযানের খবর পেয়ে কৈখালী এলাকার কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। কাঁকড়া ব্যবসায়ী আব্দুর রউফের পূঁজা এন্টারপ্রাইজ, মিজানুর রহমানের সততা এন্টারপ্রাইজ, সুপদ ভুঁইয়ার স্বদেশ এন্টারপ্রাইজসহ ১৫টি কাঁকড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ ছিল।
অভিযানকালে কৈখালী কোষ্টগার্ডের সিসি রফিকুল ইসলাম, রায়নগর নৌ পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল করিম, কৈখালী বনবিভাগের কৈখালী ষ্টেশন অফিসার কামরুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, সুন্দরবন সংলগ্ন বুড়িগোয়ালীনি ও গাবুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বুড়িগোয়ালীনি নৌ-ফাঁড়ির পুলিশ শিকার নিষিদ্ধ দুই মণ কাঁকড়া জব্দ করেছে। তবে কাঁকড়াগুলো পরিত্যাক্ত অবস্থায় থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বুড়িগেয়ালীনি নৌ-ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অনিমেশ হালদার জানান, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি দুই মাস কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ। একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুই মণ কাঁকড়া জব্দ করে খোলপেটুয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। কাঁকড়াগুলোর মূল্য ৬০ হাজার টাকা। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল