গোদাগাড়ীতে মাদ্রাসাছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আটককৃত মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম কাওসার আলী (২১)। তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ী তালিমুল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসার শিক্ষক। শিক্ষক কাওসার আলী নওগাঁ জেলার সাপাহার থানার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ৮ বছরের এক ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
ওই ছাত্রের মা জানান, গত ১২ ডিসেম্বর পরীক্ষার শেষ দিন তার ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যান। এরপর বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু তার ছেলে কিছুতেই মাদ্রাসায় যেতে চায় না। তখন ছেলে তার মাকে তার ওপর চালানো যৌন নির্যাতনের কথা জানায়।
এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ছাত্রটির নানা ও মা মাদ্রাসার পরিচালকে অভিযোগ করতে যান। এ সময় স্থানীয়রা ভিড় করেন। পরিস্থিতি খারাপ হলে খবর পেয়ে পুলিশ ওই মাদ্রাসায় যায়। পরে মাদ্রাসা থেকে এই শিক্ষককে আটক করে থানায় হেফাজতে নেয়।
গোদাগাড়ীর তালিমুল কোরআন ক্যাডেট মাদরাসার পরিচালক আতিক বীন আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'এ ধরনের ঘটনা আমার আগে জানা ছিল না। আজই জেনেছি। শিক্ষকের পরিবারকেও তা জানানো হয়েছে। আজ থেকে এই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হলো। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিক্ষক ঘটনাটি স্বীকারও করেছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে শনিবার সকালে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
