ব্যতিক্রমী উদ্যোগ আর প্রচেষ্টায় বদলে গেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের দেয়ালে দেয়ালে যেন পাঠ্যবই। পাঠ্যবইয়ের সব পড়া আছে ওইসব দেয়ালে। আবার প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে গল্প আর খেলার ছলে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন শিক্ষকরা। এতে শিখতে ও জানতে আগ্রহ বাড়ার পাশাপাশি শিশুরা লেখাপড়ায় মনোযোগী হচ্ছে।
অন্যদিকে, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়াও হয় এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, জুতা পায়ে টয়লেটে যাওয়াসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক ভিডিও দেখানো হচ্ছে। ফলে যেমন জ্ঞান অর্জন হচ্ছে, তেমনি তাদের আচরণেও ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে।
এমনই গ্রামাঞ্চলের দিনাজপুরের খানসামার পাকেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই শিক্ষার পরিবেশ। ব্যতিক্রমী এই প্রচেষ্ঠায় শিক্ষার পরিবেশে শিশুরা খেলার ছলে শিখছে, বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
বিদ্যালয়টির শ্রেণিকক্ষে রয়েছে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা রঙিন বর্ণ, নামতার ধারণা, বাংলা-ইংরেজি মাস, সপ্তাহের নাম, গণিতের সংখ্যা ও বিভিন্ন চিহ্ন, বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারের ছবি, বঙ্গবন্ধুর ছবি, সাত বীরশ্রেষ্ঠের ছবি, বিভিন্ন ফুল-ফল ও পশু-পাখির ছবি, বিভিন্ন ছড়া এবং মূল ভবনে আছে মনীষীদের বাণী ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন লেখা। পড়ালেখায় আকৃষ্ট করতে শিক্ষা বিভাগের পরামর্শে ব্যতিক্রমী এসব উদ্যোগ। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্লাস করে প্রাক-প্রাথমিকের ৪৫ শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইয়াসমিন আরা জানান, দেয়ালে লেখা দেখে, ছড়া, খেলনা ও চিত্রাংকনের মাধ্যমে সহজেই শিক্ষার্থীরা শিখছে আর পড়লেখায়ও আগ্রহ বাড়ছে।
পাকেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ বাড়াতে সরকারি সহায়তায় নতুন পদ্ধতি নেওয়া হয়। সাজানো দেয়াল দেখে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় শিখতে ও জানতে শিশুদের আগ্রহ বাড়ছে। যার ফলে শিশুরা বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসে।
এ ব্যাপারে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার অনুপম ঘোষ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আনন্দঘন পরিবেশে শিশুদের পাঠদান দিতে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষ সাজানো হয়েছে। পাকেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চমকপ্রদ এ পাঠদান পদ্ধতি সত্যিই প্রশংসনীয়।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন