কুমিল্লার চান্দিনায় করোনা সতর্কতায় দোকান খোলার অপরাধে দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে প্রতারণায় সময় এক ভুয়া নারী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ চারজনকে আটক করে গ্রামবাসী। আজ শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের তীরচর গ্রামে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার চুলাশ গ্রামের মো. ফারুকের স্ত্রী মনি (২৯)। সে নিজেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বলে পরিচয় দেয়। একই গ্রামের মো. আয়েত আলীর ছেলে ফারুক (৩৬), একই গ্রামের জাফর আলীর ছেলে লিটন (৪২) এবং অপরজন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে রহমান আলী (৩৫)। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। তবে তাদের কাছ থেকে অপরাধ জগত পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়পত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মামুনুর রশিদ জানান, গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তীরচর গ্রামের মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় বাবুল মিয়ার মুদি দোকানের সামনে এসে একটি মাইক্রোবাস থামে। তারা দোকানদার বাবুলকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেন দোকান খোলা রাখলো সেজন্য এক লাখ টাকা জরিমানা করে। বাবুল মিয়া এক লাখ টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। ঘটনাস্থলে এসে ওয়ার্ড মেম্বার হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ওই নারী নিজেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুরুষরা পুলিশ পরিচয় দেয়। তাদের পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে তারা এলোমেলো কথা বলতে শুরু করে। পরে গ্রামের জনতা তাদের গণপিটুনি দেয়।
চান্দিনা থানার ওসি মো. আবুল ফয়সল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ওয়ার্ড মেম্বার মামুন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ
