দুই শিশু সন্তানকে বাসায় রেখে রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ছুটে যান নাটোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আয়শা সিদ্দিকা আশা। হাসপাতালের করোনা কেয়ারের রোগীদের নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন তিনি।
ডা. আয়শা সিদ্দিকা আশার দুই সন্তান। বড় সন্তানের বয়স ৩ বছর আর ছোট সন্তানের বয়স ১১ মাস। দুই সন্তানই অসুস্থ। তারপরেও তাদের বাসায় রেখে হাসপাতালে রোগী দেখতে যান আশা।
নাটোরের এই চিকিৎসক দুই সন্তানসহ পরিবারের জন্য দোয়া চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিএমএর নাটোর জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. জাকির তালুকদার বলেন, বিপদের মধ্যে একে অপরের সাথে এক হয়ে কাজ করতে হয়। নাটোরের অধিকাংশ ডাক্তাররা দুর্যোগের এই দিনের মানুষের পাশে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ডা. আয়শা সিদ্দিকা আশাও একজন।
তবে ডা. জাকির তালুকদার বলেন, ডা. আয়শা সিদ্দিকা আশার দুই সন্তানের সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি রয়েছে।
ডা. আয়শা সিদ্দিকা আশা ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে নাটোর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুর্যোগের এই সময়ে অনেক চিকিৎসক হাসপাতালে ভয়ে আসছেন না। সেখানে অসুস্থ দুই সন্তানকে বাসায় রেখে করোনা ইউনিটে আসা রোগীদের তিনি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এটা চিকিৎসকদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
ডা. আয়শা সিদ্দিকা আশা জানান, তিনি নিজের জন্য এই স্ট্যাটাস দেননি। তিনি অসুস্থ দুই সন্তানের জন্য শহরবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে করোনা ইউনিট থেকে সরে আসবেন কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা ইউনিট থেকে সরে দাঁড়ানো যাবে না। এই পরিস্থিতিতেও সেবা অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান বলেন, চিকিৎসকরা যতটা সম্ভব নিরাপত্তার মধ্যে থেকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। নাটোরে করোনা উপসর্গসহ বেশ কয়েকজন রোগী পেয়েছি। সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনেও রেখেও রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত জেলায় ১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা