ক্ষুধা মানুষকে কখনো কষ্ট দেয়, কাঁদায় আবার ক্ষুধার তাড়নায় কখনো অপরাধীও করে তোলে। ঠিক এমনই ঘটনা ঘটছে বরগুনার পাথরঘাটায়। তবে বাস্তবতা হলো সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মহামারি করোনা থেকে মুক্তির জন্য সামাজিক দুরত্ব মানছেন না কেউই। পেটে ক্ষুধার তাড়নায় সামাজিক দূরত্ব তাদের কাছে কিছুই না!
গায়ের সাথে গা ঘেঁষে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে রোদে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে কয়েক কেজি চালের জন্য। এমন চিত্র দেখা গেছে বরগুনার পাথরঘাটায়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় চলমান পরিস্থিতিতে টিসিবির পণ্য এবং ওএমএসের চাল ক্রয়ে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না কেউ। ওএমএস ডিলার ও টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে একসঙ্গে ভিড় করছে কয়েক হাজার ক্রেতা।
ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই চলছে এ উপজেলায়। এই গণজমায়েত বা সামাজিক দূরত্ব থাকতে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও এবং প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকা স্বত্তে¡ও মানছেন কেউই। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও হিমশিম খাচ্ছে।
টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে খোলাবাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রমজান মাস পর্যন্ত টিসিবির পণ্য বিক্রি অব্যাহত থাকবে। কিন্তু সঠিকভাবে পণ্য সরবারাহ এবং করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে ইতিপূর্বে মনিটরিং থাকার পরেও অতিরিক্ত পুলিশ এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিকের প্রচেষ্টা থাকার পরেও সামাল দিতে পারছেননা।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করছি। উপজেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোড়ালো তৎপরতা রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, আমরা সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বজায় রাখতে সারাক্ষণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ ছাড়াও নৌবাহিনী, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন