করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় সারা দেশের মতো অঘোষিত লকডাউন চলছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটেও। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা এ লকডাউনের উদ্দেশ্য হলেও তা কার্যকর হচ্ছে না কোথাও। গ্রামীণ এলাকায় চলছে আড্ডাবাজি, চায়ের দোকানে ভিড় এবং অযাচিত ঘোরাফেরা। এতে করে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিয়োজিত থাকা পুলিশ, র্যাব এবং সেনাবাহিনীসহ স্থানীয় প্রশাসনকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলার প্রতিটি এলাকায় বিচরণ করছে পুলিশ, সেনা, র্যাবসহ দায়িত্বশীলরা। কিন্তু শহর এলাকায় অনেকটা মানা হলেও গ্রামে এবং পাড়ার ভেতরে তা মানছে না সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে চায়ের দোকানে ভিড় রয়ে গেছে। পুলিশ এলে সবাই চুপিচুপি কেটে পড়ে আবার চলে গেলে আগের মতোই জমায়েত হচ্ছে।
এদিকে, গত কয়েক দিন থেকে নিজ উদ্যোগে লালমনিরহাটের শহর থেকে শুরু করে কিছু গ্রাম এবং পাড়া-মহল্লায় লকডাউনের ব্যানার টানিয়ে দিতে দেখা গেছে। তবে অতি উৎসাহী হয়ে লকডাউন করলেও ভেতরে আড্ডা দেওয়া, জমায়েত হওয়া বন্ধ হয়নি।
চলবলা ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান মিজানুর রহমান মিজু বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন ধরণের প্রচার প্রচারণা করেছি,এখনো করা হচ্ছে । মানুষ কিছু দিন থেকে ঘরে থাকতে থাকতে আর থাকতে চাইছে না । তবুও আমরা এখনো সচেতনা বাড়াতে কাজ করছি।
এদিকে, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, যারা অপ্রয়োজনে বাহিরে বের হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা মানুষকে ঘরে থাকার জন্য বুঝাচ্ছি।
অঘোষিত লকডাউনের শুরু থেকে জেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪শতাধিক লোককে অপ্রয়োজনে ঘোরা ফেরার অপরাধে জরিমানা করা হয়েছে। তবুও আটকানো যাচ্ছে না এ মানুষগুলিকে।
বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ