দিনাজপুরের একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান সেতাবগঞ্জ চিনি কল লিমিটেডে কর্মকর্তা, স্থায়ী, অস্থায়ী, মাষ্টার রোল এবং মৌসুমী শ্রমিকরা বেতন ভাতা না পেয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বর্তমান কর্মকর্তা, শ্রমিকদের বেতনসহ চিনিকলের অন্যান খরচ বাবদ প্রায় ৩১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
তবে ৩ মাসের বকেয়া বেতন এবং মৌসুমি শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে জরুরী ভিক্তিতে ৫ কোটি টাকার প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি উৎপাদিত চিনিকলের চিনি অবিক্রিত থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
চিনিকলে কাজ করা মৌসুমী শ্রমিক মাহাবুব আলম অভিযোগ করে বলেন, পরিশ্রম করে যদি শ্রমের টাকা বকেয়া থাকে, তাহলে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে। এমনিতে দেশের যে অবস্থা, সংসার চালানো দায় হয়েছে। বেতনের বিষয়ে শ্রমিক নেতাদের বার বার বলা হলেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না।
এ ব্যাপারে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রশান্ত কুমার চৌহান বলেন, আমার শ্রমিকরা অনাহারে দিন পার করছে। চিনিকলের স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার বলা হলেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। আমি আশা করছি মিল কর্তৃপক্ষ দ্রুত বেতনের ব্যবস্থা করবে।
সেতাবগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বেতন দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। চিনি বিক্রি ছাড়া আমাদের কোন অর্থ সংস্থান নাই। এই মুহূর্তে আমরা হেড অফিস এর কাছে টাকা চেয়েছি। হেড অফিস বলেছে চিনি বিক্রয় করে বেতনের টাকা পরিশোধ করতে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী চিনিকলের উৎপাদিত চিনি বিক্রি করে কর্মকর্তা ও শ্রমিক এবং কৃষকের টাকা পরিশোধ করার নিয়ম রয়েছে। এবার মৌসুম খারাপ হওয়ায় বেতন ভাতা, মজুরি সঠিক সময়ে প্রদান করা সম্ভব হয়নি। তবে যে পরিমান চিনি অবিক্রিত রয়েছে তা দিয়ে সবার পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। ইতোমধ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল