করোনায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে মানিকগঞ্জের কৃষকরা। কৃষি শ্রমিকের অভাবে ধান ক্ষেতে নিড়ানি, আগাছা পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কৃষকরা নিজেরাই এখন এসব কাজ করছে। তবে দুশ্চিন্তায় আছে সামনে ধান কাটার সময় কৃষি শ্রমিক না পাওয়া গেলে তখন বিপদে পড়তে হবে।
সদর উপজেলার দীঘি এলাকার কৃষক রমজান, মিরাজ ও নিজাম বলেন, এবার ইরি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে সবই ঠিক মত হয়েছে। এখন বাকি জমি থেকে ধান কেটে ঘরে তোলা। বর্তমানে কৃষি শ্রমিক না থাকায় নিজেরাই কষ্ট করে কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। তবে সামনে ধান কাটার ভরা মৌশুম অল্প দিনের মধ্যেই ধান কেটে ঘরে তুলতে হয়। কৃষি শ্রমিকরা না এলে আমাদের ধান ক্ষেতেই পরে থাকবে। এ এলাকায় সাধারণত রংপুর, সিরাজগঞ্জ,গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা এসে থাকে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কেও আসতে পারবে না। আবার করোনার কারণে শ্রমিকরা জড়ো হতেও পারবে না। এসব বিষয় নিয়ে খুব দুশ্চিনায় আছি।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক সময়ে পরামর্শসহ সার, কিটনাশক পাওয়ার কারণে মানিকগঞ্জে ধানের ফলন ভালো হয়েছে। হাওর এলাকাসহ অন্যান্য এলাকার ধান কাটার পরে এখানে ধান কাটা শুরু হয়। তখন শ্রমিকের সংকট থাকবে না। এছাড়া ধান কাটার আধুনিক যন্ত্র আসার সম্ভবনা রয়েছে। এ যন্ত্র আসলে কোনো সমস্যা হবে না। তাছাড়া সরকারিভাবে কৃষকদের প্রনোদনা সহযোগিতার কথা এরই মধ্যে ঘোষণা হয়েছে। কৃষকদের কৃষি ঋণও দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার