বরিশালে করোনার প্রভাবে অনেকটা নিরবে অতিবাহিত হয়েছে বাঙ্গালির প্রাণের স্পন্দন পহেলা বৈশাখ। করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকারি বিধি নিষেধের বেড়াজালে আটকে গেছে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান এবং বৈশাখী মেলা। তবে বিগত বছর বরিশালের ঐহিত্যবাহী বিএম স্কুল মাঠে যেখানে বৈশাখী মেলা এবং পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হতো সেখানে মঙ্গলবার সকাল ৭টায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে উদীচীর কিছু সাংস্কৃতিক কর্মী ‘এসো হে বৈশাখা এসো এসো’ গান পরিবেশনসহ সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতায় বাংলা নববর্ষ উদযান করে।
অনেকে আবার নিজ নিজ বাসায় বৈশাখের গান গেয়ে মনের তৃপ্তি মিটিয়েছেন। বড় কলেবরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে না পাড়ার বেদনা থাকলেও সাংস্কৃতিক কর্মীরা সুস্থ থাকতে সবাইকে নিজ নিজ ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বরিশাল উদীচীর সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল ঘোষ।
এদিকে এবার ব্যতিক্রমী আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। সরকারি নির্দেশে পহেলা বৈশাখের কোনো অনুষ্ঠান মালার আয়োজন না থাকলেও বিভিন্ন সংস্থার সহযোগীতায় রাস্তায় জীবাণুনাশক পানি স্প্রে করার কার্যক্রম উদ্ধোধনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নগরীর নগর ভবনের সামনে জীবাণুনাশাক পানি স্প্রে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।
পর্যায়ক্রমে নগরীর সকল রাস্তায় এবং মোড়ে মোড়ে জীবাণুনাশক পানি স্প্রে করার কথা জানিয়েছেন তিনি। বাংলা নববর্ষে কাউকে ঘর থেকে বের না হয়ে সুস্থ থাকতে সবাইকে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।
জীবাণুনাশক পানি স্প্রে কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসনের নববর্ষ উদযাপন কাজে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে সিটি করপোরেশন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার