শরীয়তপুর পৌরসভার দুই নং ওয়ার্ডের কুড়াশি গ্রামের বাসিন্দা তিনি, বয়স ৬৫। অন্ধ স্বামীর বয়স ৭০। সংসারে দুই মেয়ে, এক ছেলে। ছেলে ও এক মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ছিলেন, তার দুই সন্তান। কিন্তু স্বামী মারা যাওয়ায় দুই সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে মায়ের কাছে।
এই বিশাল সংসারের ঘানি নুরজাহানের কাঁধে। তিনি বাড়ি বাড়ি ঝিয়ের কাজ করেই অনাহারে অর্ধাহারে কোনো রকম সংসারটিকে চালাতেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সে কাজও হারিয়েছেন তিনি। ঘরে এক মুঠো চাল নেই তার, দুই দিন না খেয়ে কোনো উপায় না পেয়ে ক্ষুধার জালায় অবশেষে ভিক্ষা করতে নামেন নুরজাহান। কিন্তু কারো কাছে ভিক্ষাও পাননি।
নুরজাহান বলেন, এ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কিছুই পাই নাই। আজ দুইদিন ধরে না খেয়ে আছি। ঘরে দুইটা শিশু আছে ওদের মুখেও কিছু দিতে পারি নাই। আমার স্বামী অন্ধ। তিনি কোনো কাজ কর্ম করতে পারেন না। আমি পানি খেয়ে রোজা রাখছিলাম, কিন্তু সন্ধ্যায় ইফতার কি দিয়ে করবো? তাছাড়া ঘরের সবাই না খেয়ে আছি। কোনো উপায় না পেয়ে গেরামে বের হয়েছিলাম ভিক্ষা করতে। সবাই তাড়ায়ে দিলো। কেউ ভিক্ষা দিলো না।
বিষয়টি শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামকে অবহিত করলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা