করোনাভাইরাস আতঙ্ক উপেক্ষা করে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় দেড় হাজার কৃষি শ্রমিক ধান কাটতে যাচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে সোমবার (২০ এপ্রিল) কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে ২৭ জন কৃষি শ্রমিক নাটোর জেলায় বাসযোগে সরকারিভাবে পাঠানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সরকারি খরচে বাসযোগে তারা সেখানে যাচ্ছেন বলে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক কৃষিবিদ বিধু ভুষন রায় জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর লালমনিরহাটের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বিধু ভুষণ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি লালমনিরহাট থেকে কৃষি শ্রমিক পাঠানোর কথা স্বীকার করে বলেন, লালমনিরহাটে প্রায় এক লাখেরও বেশি কৃষি শ্রমিক আছে যাদের অনেকেই প্রতি বছর ধান কাটার মৌসুমে ধান কাটতে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলাসহ হাওর অঞ্চলে যায় ধান কাটতে। কিন্তু এবার করোনার কারণে কৃষি শ্রমিকরাও আতঙ্কিত। তারপরেও তাদের সঙ্গে কথা বলে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তারা কর্মহীন আর লালমনিরহাটে ধান কাটা মাড়াই আরও ২৫-৩০ দিন সময় লাগবে। কারণ লালমনিরহাটে আলু উত্তোলন করার পরেই ধানের চারা রোপণ করায় দেরিতে ধান পাকে।
তিনি জানান, সোমবার জেলার কালিগঞ্জ থেকে ২৭ জন কৃষি শ্রমিককে নাটোর উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার আরো ৮০ জন শ্রমিক সিলেট ও ফেনীতে যাবে। পর্যায়ক্রমে দেড় হাজার শ্রমিক পাঠানো হবে। তাদের যাবার জন্য বাস ভাড়া করা হয়েছে। জ্বালানিসহ যাবতীয় খরচ আমরাই বহন করব। সেই সঙ্গে যারাই যেতে চান তাদের সরকারি খরচে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন